ঢাকা (সন্ধ্যা ৭:২২) শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
শিরোনাম

কিশোরগঞ্জে আওয়ামীলীগের সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত



কিশোরগঞ্জে ” মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মৃতি  পরিষদ” এর উদ্যোগে কিশোরগঞ্জের সাবেক এম.পি ও আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আলোচনা,দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ররিবার (৩ জানুয়ারি) বাদ আসর কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রোড, ওয়াপদা সংলগ্ন “মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ” এর অস্থায়ী কার্যালয়ে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জহিরুল ইসলাম জহির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব, আশফাকুল ইসলাম টিটু, সাবেক কেন্দ্রীয় ছত্রলীগের সদস্য জনাব আফাকুল ইসলাম নাটু, যশোদল ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব শফিকুল হক বাবুল হাজী, এ্যাডভোকেট জনাব মাহবুবুর রশিদ স্বরমিন, বীর মুক্তিযুদ্ধা নজরুল ইসলাম, জনাব মো. সোহাগ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক, মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ, জনাব মো. রনি মীর, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল হাসান সজিব, মো. রুহুল আমিন প্রমূখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৌদি প্রবাসী জনাব মো. সানু মিয়া, মনিরুজ্জামান মনির মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলী ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সেচ্চাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ২০১৯ সালের এই দিনে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। এ দিকে তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার দল আওয়ামীলীগের পাশাপাশি কিশোরগঞ্জেও বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহণ করেছে।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিনি যুক্তরাজ্য চলে যান। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি এক কন্যার জনক। তাঁর স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।

সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম সংগঠক ছিলেন। সৈয়দ আশরাফ ছাত্র জীবনে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ময়মনসিংহ জেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নেন তিনি।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT