কলাবাগানে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর সর্বশেষ
মেঘনা নিউজ ডেস্ক শুক্রবার বিকেল ০৪:৫৫, ৮ জানুয়ারী, ২০২১
আনুশকাকে ধর্ষণ পূর্বপরিকল্পিত— জিজ্ঞাসাবাদে দিহান
হত্যার আগে ধর্ষণের শিকার হন রাজধানীর ধানমন্ডি মাস্টার মাইন্ড স্কুলের ও লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিন (১৭)। এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ফারদিন ইফতেখার দিহান (১৮) তাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। সেই সঙ্গে জানিয়েছে, ধর্ষণের পরিকল্পনা থেকেই ডাকা হয় ওই শিক্ষার্থীকে।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকালে এ খবর নিশ্চিত করেছেন কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, ধর্ষণের মূল নায়ক ফারদিন ইফতেখার দিহান। আটকের পর গতকাল (৭ জানুয়ারি) রাতে ধর্ষণ ও হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার শিকার করেছে সে।
এর আগে গতকাল আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই অবচেতন ছিলেন আনুশকা। এর থেকে ধারণা করা হচ্ছে কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের যে বাসাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই শিক্ষার্থী, সেখানেই তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
জিজ্ঞাসাবাদে দিহান পুলিশকে জানায়, ধর্ষণের পরিকল্পনা আগেই করা ছিলো। বন্ধু হলেও দুজনের প্রেমের সম্পর্ক বেশিদিন হয়নি। মাত্র তিন মাস হলো উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে। গ্রুপ স্টাডির নাম করে আনুশকাকে ফোন করে কলাবাগান লেক সার্কাসের একটি বাসায় ডেকে নেয় দিহান। দুপুর ১২ টা থেকে একটার মধ্যে জোরপূর্বক আনুশকাকে ধর্ষণ করে দিহান। দুপুর একটার দিকে আনুশকা রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে অচেতন হয়ে পরে। এরপর তাকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ধর্ষণকারী একজন নাকি চারজন জানতে চাইলে কলাবাগান থানা পুলিশ জানিয়েছে, দিহান জানিয়েছে সে একাই ধর্ষণ করেছে। অবস্থা বেগতিক দেখে খবর পেয়ে বাকিরা এসেছে। পুলিশ দিহানকে গ্রেফতার দেখিয়েছে। বাকি তিনজনকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনুশকাকে কোক জাতীয় পানীয়ের সঙ্গে অচেতন করার ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে দিহান। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে জানা যাবে। আনুশকার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে। আজ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আনুশকার বাবা আল আমিন আহাম্মেদ ও মা শাহানুরী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বাবা নবাবপুরের ব্যবসায়ী এবং মা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কম্পিউটার অপারেটর। তারা ধানমন্ডি-১৭ (নতুন) তে থাকেন। সকাল নয়টার দিকে মেয়েকে বাসায় রেখে দুজনই বের হয়ে যান। এরপর বেলা ১১ টার দিকে মেয়ে তার মাকে ফোন করে জানায়, ক্লাসের নোট নেওয়ার জন্য বাইরে বের হচ্ছে। এরপর দুপুর একটার দিকে দিহান পরিচয় দিয়ে মেয়ের মাকে ফোন করে জানায়, আনুশকা তার বাড়িতে গিয়েছিল, এরপর সেখানে অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর আনুশকার মা হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারের কাছে জানতে পায়, রক্তক্ষরণে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।