নিজস্ব প্রতিনিধি সোমবার রাত ০২:৫৩, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, কাশি, ঠান্ডা এবং ফ্লু। শীত আসার সঙ্গে তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে অনেকেরই এ ধরনের উপসর্গগুলো দেখা দিচ্ছে। এগুলো সাধারণ ফ্লু। কিন্তু এগুলোর সঙ্গে যদি জ্বর, ক্রমাগত কাশি, গন্ধ বা স্বাদ না পাওয়া, মাথা কিংবা গলায় ব্যাথা অনুভূত হয় তাহলে অপেক্ষা না করে নিকটস্থ হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়ে কোভিড পরীক্ষা করা উচিত।
২১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ৫%-এর নিচে, যা ২২ অক্টোবর থেকে ২%-এর নিচে ছিল। তবে ১৯ ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণের হার প্রতিদিনই বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর একদিনে নতুন করে ২৫৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে, সংক্রমণের হার ২% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ২.০২% এবং শনিবার ২.০১% হয়েছে।
এদিকে, সংক্রমণের হার বৃদ্ধি এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরন ওমিক্রনের কথা মাথায় রেখে বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত সতর্কতার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত দুইজনের ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, “ওমিক্রন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে এবং যেকোনো সময় যেকোনো দেশকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। তাই দেশের জনগণকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্য পরামর্শগুলো মেনে চলতে।”
কোভিড-১৯-এর জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির মুখপাত্র এএসএম আলমগীর আরও বলেন, “আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই, তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।”
এপিডেমিওলজিস্ট এবং আইইডিসিআর উপদেষ্টা মুশতুক হোসেন বলেন, “করোনাভাইরাসের চতুর্থ তরঙ্গ নিশ্চিতভাবে আসবে এবং আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের ঋতুর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তবে শীতকালে পারিবারিক সমাবেশ এবং সামাজিক সমাবেশ বেড়ে যায়। এছাড়া, ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণেও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকেই ফ্লু বা ঠাণ্ডাকে শীতকালীন রোগ হিসেবে বিবেচনা করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সন্দেহভাজনদের অবশ্যই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা উচিত কারণ তারা যদি অবাধে ঘুরে বেড়ায় তবে তা সবার জন্য বিপদ ডেকে আনবে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বিশ্বের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ০.৫৮% এবং সর্বাধিক আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ৩১তম অবস্থান বাংলাদেশের।