অবমূল্যায়ন : কবি তোফায়েল আহমেদ
আরিফুল ইসলাম সোমবার বিকেল ০৪:৫২, ১৫ জুলাই, ২০১৯
প্রকাশ বিকাশ সুবিধায় কবিদের অবমূল্যায়ন
সংশ্লিষ্টদের হেলা অর্থের তামাশা,
কতরকম রাষ্ট্রীয় ভাতা নাগরিক সুবিধা রয়েছে
শুধু কবিরাই বঞ্চিত দূর- নিরাশা।
কবিরাও মানুষ, রয়েছে তাদের পরিবার- স্বজন
পরিজন ও নিত্য প্রয়োজন,
অবজ্ঞা অযতনে অবহেলায় অচিনে পড়ে থাকে
অথচ তারাই সুজন,সংকিত আয়োজন।
বাংলা একাডেমী আছে,শুধু নামে মাত্র লেখার
যাচাই বাছাই নেই, অদ্ভুত কারবার,
অনলাইন পেইজ খুলে দিয়ে শৈল্পিক সামাজিক কবিদের সুবিধা দেওয়া দরকার।
কবি ভাতা চালু করে দরিদ্র কবিদের মূল্যায়ন
সাহিত্যকে গতিশীল বিকশিত করা উচিত,
দেশ ও জাতি বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হবে নব -নব
চেতনায় ধারাবাহিক আধুনিক ও সমুচিত।
কত ক্ষুব্ধ অবহেলিত কবিদের সাহিত্যের প্রকাশ
আছে,কিন্তু বিকাশ অধরা,
অযতনে উপন্যাস -গল্প – কবিতা প্রবন্ধ,অনুকবিতা বাণী, রুপগল্প ও নানান ছড়া।
কাব্য বিকাশের আশাগুলো ঝুলন্ত বন্দি উপেক্ষিত
মরিচিকার সম ভবিষ্যৎ,
নিরবে লেখে যায় কবি কবিতা, বিনিময়ে দিতে হয় পরিবারে সঙ্গত খেসারত।
কবিরা সাহিত্যের ডাল পাতায় লেখে যায় কল্পনার ঘর্ষণে চেতনার শোধনে,
রুঢ় বাস্তবতার বিদঘুটে আধারী অব্যক্ত কথনের
চিৎকার ধারায় কাব্য বাঁধনে।
মানবতার, সমাজ সংস্কারের কথা রাষ্ট্রের উন্নয়ন
দেশ প্রেম মানস দৃষ্টির জাগ্রত স্মরণে লেখে,
কবিরা প্রেরণাশীল সাহসী পবিত্র বিধাতায় বিশ্বাসী
জয় আসবে,একদিন কল্পনার আয়নাতে দেখে।
অর্থের বাতি জ্বলেনা বিধায় কবিদের প্রত্যাশার
সাথে কবিতা ব্যথা নিয়ে ঘুমায়,
নানান বেদনার আপ্লুত আবেগের দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে
জ্যন্ত ক্লান্ত বিবিধ সুক্ষ্ম ক্ষুধায়।
রাত জাগা কবির রক্ত চক্ষুর শাসন টলটলে
কাতরতার তিক্ত রোদন তপ্ত স্বরে,
বহুবচনী উদাস আকুল ব্যকুলতায় আরবারে নব পিয়াস প্রত্যাশায় আশা ছাড়েনা আবার কলম ধরে।
বিবিধ ব্যঞ্জনায় কবিরাই বসে নিরবে কবিতা লেখে
যায় দুদূল্য বিকাশের সাধনায়,
কলি থেকে ফুল – ফুল থেকে ফল,আলোতে বেঁচে থাকার অবল্ম্বনী প্রত্যয়ী প্রত্যাশায়।।