স্ত্রীর পরকিয়ায় হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে লোহাগড়ায় দিনমজুর স্বামীর সংবাদ সম্মেলন
ইকবাল হাসান,নড়াইল সোমবার বিকেল ০৪:৩৭, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২
স্ত্রীর পরকিয়ায় বড় অসহায় দিনমজুর স্বামী হয়রানি থেকে রক্ষাপেতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসন ও সমাজের বিবেকবান মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় লোহাগড়াস্থ সাংবাদিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী স্বামী লোহাগড়া পৌরসভার মশাঘুনী গ্রামের মোঃ মাজেদ কাজীর ছেলে দিনমজুর মোঃ ইউসুফ কাজী জানান, আমি উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে ২০০২ সালে কাশিপুর ইউপির চালিঘাট গ্রামের মোঃ হান্নান মোল্যার মেয়ে লিমা বেগম(৩৩) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর স্বাচ্ছন্দে আমাদের দাম্পত্য জীবন চলতে থাকে। আমাদের সংসারে ২টি সন্তান রয়েছে। ছেলের বয়স ১১বছর, মেয়ের বয়স ৭ বছর।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মশাঘুনী গ্রামের আমার প্রতিবেশী সায়েম মোল্যার ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী, জুয়াড়ী, লোহাগড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিরু মোল্যার(৪৫) সাথে প্রায় এক বছর পূর্বে আমার স্ত্রী লিমা বেগম অনৈতিক পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। জীবিকার তাকিদে আমি শ্রমিক পেশায় নিয়োজিত থাকায় আমার অনুপস্থিতিতে তারা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। যা এলাকাবাসী ও সমগ্র গ্রামবাসীর চোখে ধরা পড়ে এবং পরবর্তিতে আমার কানে আসে। আমি আমার স্ত্রীকে অনেক বুঝিয়ে পরকিয়ার পথ থেকে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ জানাই এবং আমার সন্তানদের মুখের দিকে চেয়ে ওর সব অপরাধ ক্ষমা করে দেই। কিন্তু সে আমার বারন অমান্য করে পরকিয়ায় আবারও লিপ্ত হয় যা আমি হাতেনাতে ধরি এবং লিমার পিতা-মাতা ও ভাইকে অবহিত করি। গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের এবং উভয় পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠক করেও কোন লাভ হয়নি। এরপরও লিমা বেগম আমার অনুপস্থিতিতে মোবাইলে কথা বলতে থাকে এবং বিভিন্ন সময়ে তার পিতৃলয়ে এবং তার বোনের বাড়িতে প্রেমিক হিরু মোল্যার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
সর্বশেষ গত বছর ১২ অক্টোবর পর্যন্ত লিমা বেগম ৩ বার আমার কাছে পরকিয়ায় আবদ্ধ হওয়া ধরা পড়ে। ১৩ অক্টোবর লিমার কাছে গচ্ছিত আমার নগদ ২০-২২ হাজার টাকাসহ সন্তানদের কাপড়চোপড় নিয়ে লিমা বাপের বাড়িতে পালিয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত অনেক বার ফিরি আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। লিমা বেগম এখনো পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে আমার ঘর ছেড়ে লম্পট মোঃ হিরু মোল্যার সাথে বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে দিনযাপন করছে। লিমা বেগম আমাকে তালাকও দিচ্ছে না। লিমা আমার বৌ অথচ প্রেমিক মোঃ হিরু মোল্যার সাথে ঘর করছে। যেকারনে সমাজে আমি হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি। আমি আশংকা করছি ভবিষ্যতে লিমা ও তার প্রেমিক মোঃ হিরু মোল্যা আমাকে নানাভাবে হয়রানি করতে পারে।
উল্লেখ্য, বিএনপি নেতা লম্পট মোঃ হিরু মোল্যার স্ত্রী রহিমা বেগম। যার তিনটি ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্বেও মোঃ হিরু মোল্যা আমার স্ত্রীকে নিয়ে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে আমার দাম্পত্যজীবন নষ্ট করেছে। আমি প্রশাসনসহ সমাজের সকল মানুষের কাছে বিষয়টির সামাজিক সমাধান দাবি করছি।