প্রতিবেদকঃ নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশের সময়ঃ রবিবার সকাল ১০:১৫, ২ অক্টোবর, ২০২২
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা বাড়লেও এর মূল প্রভাব পড়বে দক্ষিণাঞ্চলে। সেখানে বৃষ্টির আধিক্য থাকবে। তবে লঘুচাপটি খুব বেশি ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। চীনা টাইফুনের কোনো প্রভাব বাংলাদেশের ওপর নেই। ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরে এসে দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরবর্তী সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসতে পারে।
আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ স্থানে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেটের কিছু কিছু স্থানে এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কয়েক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে সারা দেশের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল তাড়াশে এবং সৈয়দপুরে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ফেনীতে ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এখানে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৬০ মিলিমিটার।
সিনপটিক অবস্থায় জানানো হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তত্সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।