বিশ্বনাথের ফাতেমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ
মোঃ কামরুজ্জামান শনিবার ১২:৩২, ৪ জুলাই, ২০২০
মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির, সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের শেখেরগাঁও গ্রামে স্বামীর বাড়িতে গত ২জুলাই বৃহস্পতি বার ফাতেমা বেগম কে (২৩) যৌতুকের জন্য শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মৃত গৃহবধূর ভাই রুবেল আহমেদ জানায়, বিগত ২ বছর আগে উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামের জামিল আহমদের (২৯) সঙ্গে একই উপজেলার আনরপুর গ্রামের ইলিয়াস আলীর মেয়ে ফাতেমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছিল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২জুলাভ বুধবার রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় ওই গৃহবধূ ফাতেমাকে। হত্যার পরে গলায় উড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয় ওই গৃহবধূকে। এটা একটা পরিক্লপিত নাটক বলেন কন্যার ভাই রুবেল আহমেদ। হত্যার পরের দিন সকালে স্বামীর বাড়ির লোকজন আমাদের কে না বলেঅন্য এক ব্যাক্তির মাধ্যমে সকাল ১০ঃ০০ ঘঠিকায় জানতে পারি আমার বোনকে হত্যা করা হয়ছে। তখন আমরা তার বাড়িতে যাই গিয়ে দেখি আমার বোন কে স্বামীর ঘরের রুমের ফ্লোরে। থানায় পুলিশ গিয়ে যুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তিনি (রুবেল) আরো বলেন প্রশাসন সহ সকলের কাছে দাবী আমার বোনের উপযুক্ত সঠিক বিচার চাই। সালিশ ব্যক্তিত্ব শাহ্ তোফাজ্জল হোসেন ভান্ডারী এ প্রতিবেদককে বলেন, ফাতেমার স্বামী জামিল আহমদ একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরি করায় মাসে একবার বাড়িতে আসেন। এই সুযোগে শ্বাশুড় সাইদ আলী পুত্রবধূ ফাতেমাকে কু-প্রস্তাব দেন। আর তাতে তাদের পরিবারে কলহের সৃস্টি হয়। এনিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। একাধিক সালিশ বৈঠকের সত্যতা স্বীকার করেছেন গোয়াহরি গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন ও শেখেরগাঁওয়ের সালিশ ব্যক্তিত্ব মছব্বির আলী ও রাশিদ আলী। তারা সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের জেরে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাধ ও একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে। ফাতেমার স্বামী জামিল আহমদ শ্বাশুড়ি ও সমন্ধিকের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, ঘটনার আগেরদিন ঢাকা থেকে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। আবার পরক্ষণে বক্তব্য পরিবর্তন করে বলেন, চট্রগ্রাম থেকে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। আর বাড়ি ফেরার পরদিন তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন, তদন্তও চলছে। তবে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া হত্যা না আত্মহত্যা তা বলা যাচ্ছে না এমনকি মামলাও নেওয়া যাচ্ছেনা।