বসতবাড়ির উপর দিয়ে হাইভোল্টেজ বৈদ্যুতিক লাইন, অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি রবিবার দুপুর ০২:৫২, ৬ অক্টোবর, ২০১৯
এসকে,এমডি ইকবাল হাসান, নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামে ৫০টি বসতবাড়ির উপর দিয়ে নেয়া পল্লী বিদ্যুৎ এর ১১ হাজার কেভির হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইন অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার(৬ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনের পাঁকা সড়কে মুন্সী পরিবার ও গ্রামবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করে।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, চরমল্লিকপুর গ্রামের মধ্যদিয়ে সরকারি মূলরাস্তা বদল করে ১১ হাজার কেভির হাইভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন অন্তত ৫০ টি বসতবাড়ির উপর দিয়ে নতুন করে নেয়া হয়েছে। পূর্বে সরকারি যে রাস্তা দিয়ে লাইন নেয়া হয়েছিল সেখান দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন নিলে সর্বোচ্চ একটি খুঁটির প্রয়োজন হতো। অথচ সংশ্লিষ্টরা অবৈধ সুবিধা নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বের সরকারি রাস্তা পরিবর্তন করে মুন্সী বাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা সংলগ্ন অন্তত ৫০টি বসতবাড়ির উপর দিয়ে ১১ হাজার কেভির হাইভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন টেনেছে। কারো কারো জমি ও বাড়ির উপর দিয়ে মূল তার নেয়া হয়েছে। ১টি খুঁটির স্থলে ৫টি খুঁটি ব্যবহার করেছে তারা। ফলে অর্থেরও অপচয় হয়েছে। ওই পরিবারগুলি আশু বিপদের আশংকায় স্থাপিত বিদ্যুৎ লাইন স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক ভূক্তভোগী মুন্সী মুস্তাফিজুর রহমান, ভূক্তভোগী মাজহারুল শুভ্র, আফরোজা সুলতানা, মোঃ আলী আকবর, লেবিয়া খাতুন, বিউটি বেগম প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন পুরোনো খুঁটি বদল করে নতুন উঁচু খুঁটি দেবার কথা বলে আমাদের সাথে প্রতারনা করেছে। কিছু লোকের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে নতুন রাস্তা দিয়ে হাইভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। গত দুই মাস আগে খুঁটিতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তার লাগানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর প্রক্রিয়া চলছে।
ভূক্তভোগী মাজহারুল শুভ্র জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি যশোর-২ এর মনিরামপুর অফিসের (জেনারেল ম্যানেজার) জি,এম বরাবর সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু এখনো তদন্ত আসেনি। আমরা কোন ভাল ফলও পাইনি।
লোহাগড়াস্থ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি যশোর-২ এর লক্ষ্মীপাশা অভিযোগ কেন্দ্রের এ,জি,এম (ও এন্ড এম) গোলাম রব্বানী এ বিষয়ে বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ চাইলে সবই সম্ভব। তদন্ত আসলে সরেজমিনে ঘুরেই প্রতিবেদন দাখিল করবো।