পেঁয়াজ আমদানীতে আইপি বৃদ্ধির দাবী
এস এম সাখাওয়াত
রবিবার দুপুর ০৩:২৯, ১৭ আগস্ট, ২০২৫
দেশের বাজারে পেঁয়াজের স্বাভাবিক সরবরাহ বজায় রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমান ইমপোর্ট পারমিট-আইপি নীতি পূনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শুল্ক স্থল বন্দরের সোনামসজিদ আমদানী ও রপ্তানীকারক গ্রæপ। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানীকারক গ্রæপের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এই দাবী জানান তারা।
এ সময় সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানীকারক গ্রæপের সভাপতি আলহাজ্ব মো. একরামুল হক বলেন, সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানীতে সীমিত পরিমাণে আইপি দিচ্ছে। কখনও ৫০ মেট্রিক টন আবার কখনও তা ৩০ মেট্রিক টন। অথচ ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা প্রতিটি ট্রাকে সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসে। ফলে ৩০ মেট্রিক টনের আইপি দিলে এলসি, শুল্ক, সিএন্ডএফসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আর এর প্রভাব সরাসরি বাজারে পড়বে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য হিসেবে পেঁয়াজের বাজার দর অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, সীমিত আইপি বরাদ্দ অব্যাহত থাকলে অরাজকতা তৈরি হবে। কেউ আইপি পাবে, কেউ পাবে না। ফলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ব্যাহত হবে এবং ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই আগের মতো উন্মুক্তভাবে আইপি দেয়া হলে আমদানিকারকরা সুবিধা পাবেন। আর এতে সময় ও খরচ সাশ্রয় হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পাশাপাশি দামেও স্বস্তি ফিরে আসবে।
আর তাই বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য হিসেবে ভোক্তাদের স্বার্থে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী উম্মুক্তভাবে পেঁয়াজের ইমপোর্ট পারমিট দেয়ার দাবী করেন আমদানীকারক গ্রæপের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানীকারক গ্রæপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, কোষাধ্যক্ষ নাজমুল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মাসুম বিল্লাহসহ কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


