নড়াইলে পুলিশের উপর হামলা ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৯ জন গ্রেফতার
ইকবাল হাসান,নড়াইল রবিবার রাত ০৯:১৩, ২৫ এপ্রিল, ২০২১
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামে পুলিশের উপর হামলা ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৩ এপ্রিল এ,এস,আই মিকাইল হোসেন বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ২৫-৩০ জন অজ্ঞাতদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২২ এপ্রিল হামলার দিন পুলিশ কুমড়ি গ্রাম থেকে প্রথমে সোহানা(২৮), সেলিনা বেগম(৪১),জাহানারা বেগম(৫৪) কে গ্রেফতার করে। পরে ২৩ এপ্রিল বিকালে কুমড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নড়াইলের ডিবির এস,আই মোঃ মনিরুল ইসলাম ৩ জনকে গ্রেফতার করেন।
ডিবির চৌকস পুলিশ অফিসার এস,আই মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার ইন্দা কটা, হাই কটা সহ বাবলু মাষ্টারকে গ্রেফতার করেছি।
সূত্র জানায়, ২৫ এপ্রিল রাতে ওই একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবির এ,এস,আই মাহফুজুর রহমান ৩জনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুমড়ি এলাকার মোঃ মিলন সরদার, মোঃ রুবেল শেখ, মোঃ ইকরামুল শেখ।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল দুপুরে কুমড়ি গ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষ সামাল দিতে গিয়ে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা হামলার শিকার হন । ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার এ,এস,আই মীর আলমগীর হোসেন এবং এ,এস,আই মিকাইল হোসেন কুমড়ি পূর্বপাড়াস্থ টিকেরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে প্রবেশ করেন। এ,এস,আই মীর আলমগীর হোসেন এসময় সরদার ওহিদুর রহমান গ্রুপের সনি সরদার কে ধরে ফেলেন। সরদার ওহিদুর রহমান গ্রুপের লোকজন এ,এস,আই মীর আলমগীর হোসেন কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে সনি সরদারকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় এ,এস,আই মিকাইলও মারপিটের শিকার হন। দুর্বৃত্তরা মারপিটের সময় এ,এস,আই মীর আলমগীর হোসেন এর সরকারি পিস্তল কেড়ে নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। খোয়া যাওয়ার দুঘন্টা পর পুলিশ মাউলী সড়কের পাশ থেকে ওই পিস্তল উদ্ধার করে।
লোহাগড়া থানার ওসি(তদন্ত) মোঃ মাহামুদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এজাহার নামীয় আসামী ৬জন। আর সন্দেহভাজন ৩জন। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।