চাঁপাইনবাবগঞ্জে শতভাগ ফেল মাদ্রাসায়
এস এম সাখাওয়াত রবিবার রাত ১১:০৮, ১২ মে, ২০২৪
বজ্রনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা। যেখানে ২ জন শিক্ষার্থীর জন্য আছেন ৮ জন শিক্ষক। কিন্তু বিধিবাম। এতজন শিক্ষকের পরিশ্রম বিফলে গেছে। কারণ চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দুই জন ছাত্রের কেউই পাশ করতে পারেননি। আর তাই রোববার (১২ মে) প্রকাশিত ফলাফল পর্যবেক্ষণে শতভাগ ফেলের খাতায় নাম লিখিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বজ্রনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা।
জানা গেছে, এবার দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বজ্রনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ফরম পূরণ করেছিল আট জন শিক্ষার্থী। কিন্তু তাদের মধ্য থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় মাত্র ২ জন ছাত্র। কিন্তু তারা ফেল করেছে।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই বজ্রনাথপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার মান কমতে থাকে। আর মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস নিতেন না। এ কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে।
তবে সব দোষ শিক্ষকদের ওপর চাপাতে নারাজ বজ্রনাথপুর দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেনটেন্ড এজাজুল হক। ফলাফল খারাপ হওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, গোমস্তাপুর ্উপজেলার বাংগাবাড়ি এলাকায় ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বজ্রনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা। কিন্তু ্রএখনো এমপিওভুক্ত হয়নি প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানের ৮ জন শিক্ষকের কেউই বেতন পাননা। আর তাই ক্লাশ নিতে খুব একটা আগ্রহী না হলেও কিছুটা সময়তো তারা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান। বাকি সময় তারা অন্য কাজ করে সংসার পরিচালনা করেন। তবে মাদ্রাসাটি থেকে ৮ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করলেও মাত্র ২ জন অংশগ্রহণ করে পরীক্ষায়। তাদেও ফেলের বিষয়ে আমি হতাশ হয়েছি। আশা করি মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হলে শিক্ষার মান আরও বাড়বে আর ভবিষ্যতে এমন ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও শিক্ষা আইসিটি) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটি পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি ফলাফল কেন এতো খারাপ হলো তা যাচাই-বাছাই করব।