সাঘাটায় জনবসতি এলাকায় মুরগির খামার;দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা
আসাদ খন্দকার,সাঘাটা,গাইবান্ধা রবিবার ১২:৪০, ১৭ এপ্রিল, ২০২২
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ওসমানের পাড়া গ্রামে মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালা উপেক্ষা করে গ্রামের ঘন জনবসতিপূর্ণ স্থানে খামারটি স্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগি লোকজন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক ১ বছর আগে ওসমানের পাড়া গ্রামের মমতাজের ছেলে আব্দুল মতিন ঘন ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে ব্রয়লার মুরগির খামার স্থাপন করেন। বর্তমানে খামারে প্রায় দুই হাজার মুরগি রয়েছে। ওই সব মুরগির বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামার সংলগ্ন চারদিকে মানুষের বসবাস করা দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়েছে।
অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হওয়ার কথা। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের ক্ষতি হয় এমন স্থানে খামার স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু কোনো নিয়ম না মেনে নিজের ইচ্ছামতো জনবসতি স্থানে মুরগির খামার স্থাপন করেছেন। স্থানীয় লোকজন খামার স্থাপনের সময় নিষেধ করলেও নিষেধের তোয়াক্কা না করে খামারটি স্থাপন করা হয়।
গত শনিবার ওসমানের পাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খামারটির আশপাশে মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। খামারের চারপাশে বসতবাড়ি। এসব বাড়ি থেকেও তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিল্লু মিয়া বলেন, আমার বসত বাড়ি সংলগ্ন খামার। বিষ্ঠা থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। এর আশপাশে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
রেজিয়া বেগম বলেন, খামারের মুরগির ঘরের দুর্গন্ধে বাড়িতে টিকে থাকা যায় না ,নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে দুরে গিয়ে সময় কাটাতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী জানান, ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে খামারটি সরানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এবং থানায় অভিযোগ করা হয়েছে কোন কাজ হচ্ছে না। তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। উল্টো খামার মালিক মতিয়ার এবং তার পরিবারের লোকজন অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের হুমকী ধামকী অব্যহত রেখেছেন। খামারটি স্থাপনের ক্ষেত্রে জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন নীতিমালা-২০০৮ মানা হয়নি।
খামারের পাশে মালিক আব্দুল মতিনের বাড়ি। বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মুঠো ফোনে কথা হলে মতিন বাড়িতে খামার স্থাপনের বিষয়টি অবগত করলে কোন প্রশ্নের উত্তর দেন নি।