মিরু হাসান বাপ্পি,আদমদীঘি(বগুড়া) শুক্রবার রাত ০২:৫০, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
বগুড়ার আদমদীঘিতে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার সার কালোবাজারে বিক্রি সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত শ্রমিক লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম রাজা বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্পেশাল আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ জানান, আত্মসমপর্ণকারী রাশেদুল ইসলাম রাজা জেলার সান্তাহার বাফার গুদামের হ্যান্ডেলিং এজেন্ট ছিলেন। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, তিনি আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক। ওই মামলায় অভিযুক্ত অপর দুই জনের মধ্যে গুদামের তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবির উদ্দিন বর্তমানে পলাতক এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মশিউর রহমান জামিনে রয়েছেন।
মামলার বাদী দুদক বগুড়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের শুরুতে বিদেশ থেকে আমদানি করা সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বগুড়া জেলার সান্তাহার বাফার গুদামে সরবরাহ করার জন্য একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্ত সেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মশিউর রহমান ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে মাত্র ৪ হাজার ৬১০ মেট্রিক টন সার সান্তাহার বাফার গুদামে সরবরাহ অর্থাৎ মজুদ করেন। বাকি ৩ হাজার ৮৮৯ দশমিক ৫৫ মেট্রিক টন সার গুদামে মজুদ না করে কালো বাজারে বিক্রি করা হয়।
ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবির উদ্দিন খান, মাসুদুর রহমান নামে অপর এক কর্মকর্তা এবং পরিবহন ঠিকাদার মশিউর রহমানকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর আগে আদালতে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করা হয়। তবে মাসুদুর রহমানের কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অবশ্য তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় হ্যান্ডেলিং এজেন্ট রাশেদুল ইসলাম রাজার নাম চার্জশিটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।