ভোলার দৌলতখানে মসজিদের ঈমামের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কামরুজ্জমান শাহীন,ভোলা মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৭:০৬, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ভোলার দৌলতখানে মসজিদ থেকে মাওঃ আব্দুল হালিম (২৫) নামের মসজিদের ঈমামের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার হাসমত আলী বেপারী বাড়ির জামে মসজিদের ঈমামের কক্ষ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে এশার নামাজ পড়িয়ে ইমাম মসজিদের নিজ কক্ষে চলে যান। রাত ১২টার দিকে তিনি আত্মীয়-স্বজনের মোবাইলে তিনি বেঁচে থাকবেন না বলে একটি খুদে বার্তা পাঠান। পরে তার মোবাইলে স্বজনরা একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেনি।
এ অবস্থায় তার ভগ্নিপতি রাসেদ রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই মসজিদে যান। মসজিদে গিয়ে আব্দুল হালিমের কক্ষে গেলে ফ্যানের সাথে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। তিনি চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। পরে দৌলতখান থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।
পুলিশ জানায়, নিহত আব্দুল হালিম নিজের মাথার পাগড়ী দিয়ে মসজিদে নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়েছেন। ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়।
চিরকুটে লেখা রয়েছে-“আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।” চিরকুটে মৃত্যুর পর তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই সাথে তার চার মাসের সন্তানের দিকে খেয়াল রাখার কথাও লিখেছেন। তার কাছ থেকে কারা কারা টাকা পাবেন সেটিও চিরকুটে লিখে গিয়েছেন।
পুলিশ আরো জানায়, আব্দুল হালিম মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি দৌলতখানের চর খলিফা মাদরাসায় পড়ালেখা করতেন। তিনি গত দুই বছর আগে বিয়ে করেছেন।
তার চার মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। গত এক সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী চার মাসের সন্তান রেখে চলে যান। পারিবারিক এ সকল বিষয় ও ঋণগ্রস্ত হয়ে আব্দুল হালিম হতাশায় ভুগছিলেন। আর এসকল হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
দৌলতখান থানার ওসি মো. জকির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।