মোঃআতিকুর হাসান,আদমদিঘী,বগুড়া শুক্রবার বিকেল ০৪:০০, ৬ নভেম্বর, ২০২০
বগুড়া আদমদীঘি উপজেলা সান্তাহারে শীতের আগমনে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ তোষকের কারিগররা। বগুড়ার সান্তাহারে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে শীত। রাতে কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে আর ভোরবেলা কুয়াশায় ঢেকে রাখছে পথঘাট প্রান্তর। গাছপালা লতাপাতা মাঠ-ঘাট ঢেকে রাখছে কুয়াশায়। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক মাসে শীতের আগমন হলেও পৌষ-মাঘ এই দুই মাসের শীতের আমেজ বুঝা যায়। তাই শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোষকের দোকান গুলোতে। লেপ-তোষক বানানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ধুনকুড়রা।
বছরের অন্যান্য সময় তারা অলস সময় কাটালেও আশ্বিন কার্তিক মাস এলেই পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। শীতের আগমনে অনেক ক্রেতারা নতুন লেপ-তোষক তৈরী করে নিচ্ছেন। আবার অনেকেই পুরাতন শীতবস্ত্র যেমন লেপ, তোষক, গদি ইত্যাদি ঠিক করেও নিচ্ছেন। উত্তরাঞ্চলের এই আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরে বর্তমানে শীতের প্রভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। তেমনি বগুড়ার সান্তাহারে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায় শীতের আগমনে তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। সান্তাহার স্টেশন রোডের লেপ-তোষকের দোকান বোর্ডিং-এর কারিগর ফারুক এবং স্টোরের কারিগর জামাল হোসেন জানান প্রতিটি কার্পাস তুলার বানাতে খরচ পড়ে ১২০০-১৩০০ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শীতের আগমনে সান্তাহার রেলওয়ে টিকিট ঘরের দক্ষিনে (তুলাপট্রিতে) ব্যস্ত হয়ে পরেছেন লেপ-তোষকের কারীগররা। এখানে শীতের সময় ছাড়াও সাড়া বছর কমবেশী বিভিন্ন প্রকারের তুলা বিক্রয় হয়ে থাকে। তাই এই জায়গাকে তুলাপট্রি বলেও অনেকে চেনে। শীতের এই সময় এখানকার ব্যাবসায়ীদের আয় ভালো হয়। সাড়া বছরে এসময় টুকু বাদ দিয়ে বাঁকি সময় পার করতে হয় অলসে। সান্তাহার তুলাপট্রির দোগাছী বোডিং স্টোরের সত্বাধিকারী রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানাযায়, তারা তিন ধরনের লেপ তৈরী করে থাকে। যেমন: র্কাপাস ত‚লার লেপ, র্গামেন্টস কালার ত‚লার লেপ, গার্মেন্টস নরমাল তুলার লেপ। একটি ভালো মানের তুলার লেপের মূল্য প্রায় ১৫০০-২৮০০ টাকা। মাঝারী মানের তুলার লেপের মূল্য প্রায় ১২০০–১৩০০ টাকা। ছোট আকারের লেপের মূল্য ৫০০টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
একটি বড় আকারের লেপ তৈরী করতে সময় লাগে তিন থেকে সারে তিন ঘন্টা। লেপ তৈরী করতে ২-৩ কালারের কাপড় ব্যাবহার করা হয়। এই শীত মৌসুম ছাড়াও তারা তোষক, তাজিম, গদি তৈরী করে থাকে। এই তুলাাপট্রীর কারিগররা দৈনকি,সাপ্তাহিক,মাসিক,পারিশ্রমিক নিয়ে থাকে। সান্তাহার টিকিটঘর এলাকার ব্যাবসায়ী সোহেল রানা জানান, নিন্ম ও মধ্য আয়ের মানুষরাই বেশির ভাগ তোষক, তাজিম, বালিশ গদি ক্রয় করে থাকে ।