পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) রবিবার রাত ১০:১৩, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
সুনামগঞ্জ জেলা ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর হোসাইনিয়া মাদ্রাসার সামনের সড়কে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলা ও ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপের আঘাতে তানভীর হাসান (৩২) নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার রাজাপুর দক্ষিণহাটি গ্রামে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা। এ ঘটনায় রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত তানভীর হাসানকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে তানভীর হাসানের শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ রোববার ভোর পাঁচটার দিকে রাজাপুর দক্ষিণহাটি গ্রাম থেকে জিটু মিয়া (৩৮) ও রফিকুল ইসলাম (২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর দক্ষিণহাটি গ্রামের বাসিন্দা তানভীর হাসানের(৩২) সঙ্গে একই ইউনিয়নের রাজাপুর বড়কান্দা গ্রামের ইমামুল মিয়ার (৪০) গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পক্ষে- বিপক্ষে থাকাসহ পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তানভীর নিজ ইউনিয়নের রাজাপুর বাজার থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে রাজাপুর হোসাইনিয়া মাদ্রাসার সামনের সড়কে পৌঁছামাত্রই আগে থেকে রামদা,কিরিচ,ছোরাসহ বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওৎ পেতে থাকা ইমামুল মিয়া ও তার ছোট ভাই এনামুল মিয়ার (৩০) নেতৃত্বে ১০-১২জন মিলে তানভীরের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তানভীরের মাথা,পিঠ, বুক,কাধ,কোমর, দুই হাত ও দুই পায়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও আঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন সেখান থেকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাকে পাশের নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।সেখানে সাময়িক চিকিৎসা শেষে রাত ১২টার দিকে মুমুর্ষ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। রাত তিনটার দিকে শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন। আজ শনিবার সকাল ছয়টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইমামুল মিয়া ও তার ভাই এনামুল মিয়ার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সন্দেহ জনক আটককৃত রফিকুল হাসানের পিতা রতন মিয়া বলেন আমার ছেলে কখনো কোন ধরনের মারামারি বা অন্য কোন অপরাধের সাথে জড়িত হয়নি আমার ছেলে এই ঘটনার সাথে জড়িত না, পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন,পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তার সত্যতা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।মামলার প্রস্তুতি চলছে।