পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক থেকে মিললো বিপুল টাকা-স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশী মুদ্রা
মোঃ কামরুজ্জামান শনিবার সন্ধ্যা ০৭:৪৬, ২২ আগস্ট, ২০২০
রায়হান জামান, কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতাঃ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক থেকে বিপুল টাকা-স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর দীর্ঘ ৬ মাস ৭ দিন পর আবারো খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার ঐহিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক। শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুক থেকে টাকা বস্তায় ভরা হয়। পরে শুরু হয় টাকা গণনার কাজ। ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী পাগলা মসজিদের টাকা গণনার কাজ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় পাগলা মসজিদের সাধারণ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ ও সদস্য সাইফুল হক মোল্লা দুলু সহ জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন এক কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া যায়। যা দানবাক্সগুলো থেকে পাওয়া দানের হিসাবে এ যাবতকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এবার করোনা পরিস্থিতিতেও দান সিন্দুকে বিপুল পরিমাণ দান পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত গণনায় এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে গণনা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এছাড়া রয়েছে স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশী মুদ্রা। এদিকে পাগলা মসজিদে টাকা গণনার এই এলাহী কাণ্ড নিজ চোখে অবলোকন করতে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অনেকেই মসজিদে ছুটে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। সাধারণত তিন মাস বা তার চেয়ে বেশি সময় পর দানসিন্দুক খোলা হয়।