ধর্মপাশার ১৭টি পিআইসির সভাপতি ও সদস্য সচিবকে শোকজ
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) সোমবার সন্ধ্যা ০৬:৪৫, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ধানকুনিয়া, জয়ধনা, কাইলানী, সোনামড়ল, চন্দ্র সোনার থাল,গুরমা ও ঘোড়াডোবা হাওরের সাতটি ফসলরক্ষা বাঁধের ১৭টি প্রকল্প কাজের পিআইসির সভাপতি ও সদস্য সচিবকে শোকজ করা হয়েছে। রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান স্বাক্ষরিত এসব চিঠি সোমবার সকালে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় নয়টি হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের ১৭০টি পিআইসি কমিটি রয়েছে। গত ১৭জানুয়ারি পিআইসির সভাপতি ও সদস্য সচিবদের মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা বিতরণ শুরু করা হয়। পাউবোর কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী সঠিকভাবে বাঁধের কাজ না করায় উপজেলার ধানকুনিয়া হাওরের ৬নম্বর, জয়ধনা হাওরের ৯নম্বর, কাইলানী হাওরের ১৪ ও ১৯নম্বর, সোনামড়ল হাওরে ২৬,২৭ ও ৪৩নম্বর,চন্দ্র সোনার থাল হাওরে ৫৩, ৫৭,৬২,৬৪, ৮৫ ,৯১নম্বর, গুরমা হাওরে ১৪৩নম্বর, ঘোড়াডোবা হাওরে ১৫৬,১৫৭ ও ১৫৮ নম্বর এই ১৭টি পিআইসির সভাপতি ও সদস্য সচিবের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক পিআইসির সভাপতি ও সদস্য সচিব বলেন, পিআইসি গঠন করার কাজ শেষ করতে অনেক দেরি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারণেই এমনটি হয়েছে। আর এখন অযথা দোষারোপ করা হচ্ছে আমাদেরকে।পাউবোর নীতিমালা মেনে সঠিকভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজটি আগামী ২৮ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শেষ করা হবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী ও উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব মো.এমরান হোসেন বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে ধীরগতি, স্লোপ ও কমপেকশন কাজ সঠিকভাবে না করায় এখানকার সাতটি হাওরের ১৭টি পিআইসির সভাপতি ও সদস্য সচিবের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।নোটিশ প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।অন্যতায় বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মুনতাসির হাসান বলেন, এ উপজেলায় হাওরের কৃষকদের বোরো ফসলরক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বরকম প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।