চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা কেড়ে নিলো ৪ জনের প্রাণ
এস এম সাখাওয়াত রবিবার সকাল ০৮:৫২, ১৯ মে, ২০২৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদী কেড়ে নিয়েছে চার জনের প্রাণ। শুক্রবার (১৭ মে) এবং শনিবার (১৮ মে) জেলার সদর, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর উপজেলায় এ সকল মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। স্ব স্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ সকল মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- জেলার সদর উপজেলার শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও স্বরুপনগর এলাকার নতুন বাস টার্মিনাল সংলগ্ন জিতেনের ছেলে শুভ (২২), ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের পীরগাছি গ্রামের জোহর আলীর মেয়ে সোনীয়া (১২) এবং গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের মোমিন পাড়া গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে শিশু ফাহিম আলী (৪) ও মফিজুল ইসলামের মেয়ে শিশু ফারহানা (৩)। তারা সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই-বোন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিন্টু রহমান জানান, শনিবার (১৮ মে) দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার রেহাইচর এলাকার নির্মাণাধীন রাবার ড্যাম সংলগ্ন মহানন্দা নদীতে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে নামেন শুভ। এরপর গোসলের এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান কলেজ শিক্ষার্থী শুভ। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
এদিকে ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার জানান, উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের পীরগাছি গ্রামের জোহর আলীর ১২ বছরের কন্যা সোনীয়া বজরাটেক মুন্সিগঞ্জ গ্রামে নানা জমিরুদ্দিনের বাড়ি বেড়াতে এসে দুপুরের দিকে মহানন্দা নদীতে গোসল করতে যায়। এ সময় সে পানিতে ডুবে যায়। পরে ভোলাহাট ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. ফরিদ উদ্দিনের টিমের সহযোগীতায় স্থানীয়রা সোনীয়াকে উদ্ধার কওে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. রাহাত তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পওে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোনীয়াকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় পুকুরে ডুবে দুই চাচাতো ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের মোমিন পাড়া গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে ফাহিম আলী (৪) ও মফিজুল ইসলামের মেয়ে ফারজানা খাতুন (৩) বাড়ির পাশে খেলাধুলা করার সময় পুকুরে পড়ে মারা যায়। পরে পরিবারের লোকজন দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পুকুরের মধ্য থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হলে স্থানীয় গোরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।