চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃদ্ধি পেলো লকডাউন, করোনা সংক্রমণ উর্দ্ধমুখী
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঙ্গলবার রাত ০১:০৩, ১ জুন, ২০২১
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রোমণ আবারো উর্দ্ধমুখী হওয়ায় তা রোধে পূনরায় ৭ দিনের সর্বাত্মক বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি এই ঘোষণা দেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, যেহেতু জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন আবারো বৃৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে জেলা ব্যাপি পূূূূূনরায় সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হলো। আর এই লকডাউন ৩১ মে রোববার দিবাগত গভীর রাত ১২টা সোমবার পহেলা জুুন থেকে শুরু হবে এবং ৭ জুন সোমবার দিবাগত রাত ১২ টায় শেষ হবে।
তিনি বলেন, লকডাউনে পূর্বের ১১টি নীতি বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ জেলায় মটরসাইকেলসহ কোন প্রকার যানবাহন চলবেনা। দূরপাল্লাতো বটেই অভ্যন্তরিন যান চলাচল বন্ধ থাকবে। লকডাউন চলাকালীন সময়ে কোন প্রকার যানবাহন পার্শ্ববর্তী জেলা রাজশাহী ও নওগাঁয় যাবেনা এবং সেখান থেকেও কোন প্রকার যানবাহন জেলায় প্রবেশ করবেনা। আর এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে জেলার প্রবেশদ্বার সমূহে আরো সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য বিশেষ নির্দেশ প্রদাণ করেন তিনি। তবে আম পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহন এর আওতামুক্ত থাকবে। আড়ত ও বাগান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আম ক্রয় বিক্রয় করা যাবে।
নির্দেশনায় তিনি আরো বলেন, কাঁচা বাজার ও ফার্মেসী খোলা থাকলেও সেসব স্থানে অতি জরুরী ছাড়া ভীড় করা চলবেনা। সকল প্রকার দোকানপাট, শপিংমল ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধ রাখতে হবে। তবে জরুরী সকল সেবা নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।
তিনি বলেন, শিল্পকারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু থাকলেও প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক আনা-নেয়া নিশ্চিত করতে হবে। বহিরাগত আম ব্যবসায়ীরা জেলায় এসে স্বাস্হ্যবিধি মেনে আম ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন। হোটেল ও রেস্তোরায় বসে খাওয়া যাবেনা শুধু বিক্রয় করা যাবে। মসজিদে ২০ জন মুসল্লি নিয়ে নামাজ পড়তে হবে। আর তাই জরুরী প্রয়োজনে চলাচলকারী সকলকে বাধ্যতামূলক মাক্স পরিধান করতে হবে।
করোনা সংক্রমণের হার আরো কমানোর জন্য জেলায় দ্বিতীয় ধাপে ফের ৭ দিনের লকাডাউন ঘোষণা করা হলো।সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি ডিসি।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন,মঙ্গলবার (২৫ মে) লকডাউনের প্রথম দিন করোনা সংক্রমণের হার ৫৫ শতাংশ ছিলো। গত ৬ দিনের বিশেষ লকডাউনে সংক্রমণের হার কমে ৩৩ দশমিক ৬৯ শতাংশে নেমেছে। কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পিসিআর, জেন এক্সপার্ট ও এন্টিজেন টেষ্টে ২৭৬ জনের নমুনায় ৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮২০ জন। মোট করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ জন। জেলার করোনার ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি আছে ২০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে ৬৬৯ জন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ.কে.এম তাজকির উজ-জামান, সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী,পুলিশ সুপার এ.এইচ.এম আব্দুর রকিব, সহকারী কমিশনার রুহুল আমিন, চন্দনকর, রবিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।