চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ফাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৭:৪৪, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রুহুল আমিনকে ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়েছেন দলটির নীতি নির্ধারকরা। কিন্তু তার পক্ষের সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া মনোনয়নপত্রের ব্যাংক ড্রাফটসহ সকল কাগজ-পত্রের ফাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেছেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী রানিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. দূরুল হোদা।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসের নিচ তলায় এই ঘটনা ঘটে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বুধবার দুপুর ২টার দিকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র নেয়ার জন্য জেলা নির্বাচন অফিসে প্রবেশ করি। কিন্তু অফিসে প্রবেশের পথেই সিঁড়ির কাছে আমাকে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিনের সন্ত্রাসীরা বাধা দেয় এবং লাঞ্ছিত করে আমার ব্যাংক ড্রাফটসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্রের ফাইল ছিনতাই করে নেয়। এরপর আমাকে অফিসে ঢুকতে না দিয়ে জোর করে সেখান থেকে বের করে দেয়া হয়। ফলে খালি হাতেই আমাকে সেখান থেকে ফিরে আসতে হয়। জেলা নির্বাচন অফিসের সিসি ক্যামেরায় সবকিছুর রেকর্ড থাকার কথা। এখন মনোয়নয়পত্র নেয়ার আর কোন সুযোগ থাকলো না।
তবে আমি তাৎক্ষণিক জেলা নির্বাচন অফিসারকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এরপর আমি কোনো উপায় না পেয়ে ইউএনও ও জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বিষয়টি জানানোর জন্য তাদের কার্যালয়ে আমার লোক পাঠাই। কিন্তু অফিসে তাদের না পেয়ে তারা ফিরে আসে। বর্তমানে আমি নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েই হুমকিতে রয়েছি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রুহুল আমিন জানান, এ ধরনের কোন ঘটনা আমার জানা নাই। এ ধরনের কোন কথা আমার কানেও আসেনি। তবে তারা আমার লোকজন না, হয়তো অন্য কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমার মনোনয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ এমন গুজব ছড়াচ্ছে বলে আমি মনে করি।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, আমি তো আমার অফিসের তৃতীয় তলাতেই বসেছিলাম। এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। আর আমার অফিসের সিসি ক্যামেরা নষ্ট।
তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন জানান, বিষয়টি জেলা নির্বাচন অফিসার আমাকে জানিয়েছেন। নির্বাচন অফিসের মধ্যে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি বলেও তিনি জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিলো বলেই বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে যান দূরুল হোদা।