গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৫ টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত
তারেক আল মুরশিদ,গাইবান্ধা মঙ্গলবার রাত ১০:১৪, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে করতোয়া নদীর পানি বিপদ সীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ভারী বর্ষণের কারণে উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার চাদপুর খলসী গ্রামের বাঁধ ভেঙ্গে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পৌরসভার খলসী,কাইয়াগঞ্জ সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ চুঁয়ে পানি প্রবেশ করছে।এছাড়াও উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বগুলাগাড়ী, বিশুবাড়ী, সাতানা বালুপাড়া,রহলা, হরিরামপুর ইউনিয়নের পার ধুন্দিয়া,পার সোনাইডাঙ্গা রাখালবুরুজ, তালুককুপুর,শিবপুর, মহিমাগঞ্জ, শালমারা,সাপমারা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ও সড়কে বন্যার পানি ডুকে পড়েছে।
বন্যার পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙ্গে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। তবে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধের ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এছাড়া শাপমারা ইউনিয়ন,গুমানীগঞ্জ ইউনিয়ন এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের উপর দিয়ে পানি পড়ায় তা হুমকির মুখে পড়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকাবাসী বলেন, আমার ঘরবাড়ী নদী ঘর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমার এক শতক জমি নাই আমি এই বাঁধের উপর আমার ৪ ছেলে মেয়ে সহ বসবাস করতে ছিলাম এখন আমি কোথায় যাব আমার মাথা গোজার ঠাই টুকু নদীতে চলে গেছে। এমনী ভাবে প্রায় ২৫ টি পরিবার মহুর্তের মধ্য নদীতে চলে গেছে বলছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
চাঁদপুর খলসী গ্রামে পানি নিয়ন্ত্রন বাধ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় পানিবন্দী পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। শুকনো খাবার ও জ্বালানির অভাবে খাদ্য সংকটে পড়েছে বন্যার্ত মানুষ। এছাড়া গোবাদি পশুরও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার অনেকে ইতোমধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বন্যা কবলিত উপজেলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ২১ হেক্টর জমির আমন ধান, বীজতলা,এবং বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে।অপরদিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্তরে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ডাক্তার,নার্স, রোগী ও তার স্বজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।