ঢাকা (সন্ধ্যা ৬:২৪) শুক্রবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

মতলবের পিআইও সেলিম খানের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার স্টাফ রিপোর্টার Clock শুক্রবার বিকেল ০৪:৪৬, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সেলিম খানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে কোটি টাকার কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে বাস্তবে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, অসম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়েছে বলে দেখানো এবং বিল উত্তোলনের মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন ও সংস্কার স্কুল-কলেজ ভবন সংস্কার, সড়ক মেরামত ও সেতু নির্মাণ প্রকল্পে নির্ধারিত মান বজায় রাখা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে কাজ শুরু হলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা বন্ধ হয়ে গেছে, তবুও প্রকল্পের অর্থ পুরোটাই উত্তোলন হয়েছে। কিছু কিছু প্রকল্প লেভেলিং ড্রেসিং এর মাধ্যমে অনিয়মে পিআইও-র যোগসাজশে পিআইসি ও প্রভাবশালী মহল সুবিধা নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

পিওআইও কর্মকর্তা সেলিম খানের সম্পত্তি:

অবৈধ টাকায় ঢাকার আফতাবনগরে ১০ কাঠা জায়গায় রয়েছে নির্মানাধীন ১০ তলা বাড়ি।

২৪-২০২৫ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার কাবিটা/কাবিখা কর্মসূচীর আওতায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে কাবিটা ১৬৬৮৬১২০/- এর অনুকূলে ৬৮টি প্রকল্প, চাল ১১৯ মেট্রিক টন অনুকূলে ২১ টি প্রকল্প, এবং গম ১১৯ মেট্রিক টন অনুকূলে ১৯ টি প্রকল্প বরাদ্দ পাওয়া যায়। গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর কর্মসূচীর ১৫৮৫৬১১৩/- টাকার অনুকূলে ১০২ টি প্রকল্প,এবং ৩য় পর্যায়ে কাবিটা ৮৩৪৩০৬০/- অনুকূলে ২৫ টি প্রকল্প, চাল ৪৭ মেট্রিক টন অনুকূলে ০৭ টি প্রকল্প, এবং গম ৪৭ মেট্রিক টন অনুকূলে ০৭ টি প্রকল্প বরাদ্দ পাওয়া যায়। গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর কর্মসূচীর ৭৯২৮০৫৬/- টাকার অনুকূলে ৪৮টি প্রকল্পের আওতায় সে আলোকে ইউনিয়ন পর্যায় হতে প্রকল্প প্রেরন তাছাড়া পরিপত্র মোতাবেক উপজেলা পিআইও এবং ইউএনও ২০% রিজার্ভ বরাদ্দ রাখতে পারে সেটা ইউনিয়ন এর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলো বাস্তবায়ন করতে। কিন্তু পিআইও উপজেলার কলাকান্দা এবং এখলাসপুর নামক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর সাথে যোগসাজশে রিজার্ভ বরাদ্দ এর বেশিরভাগ টাকা সে দুটি ইউনিয়ন পরিষদের দেখিয়ে নামে মাত্র কাজ করে হাতিয়ে নিতেছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কাবিটা প্রকল্প হতে এখলাসপুর ইউনিয়নে বোরচর আশাদ বকাউলের জমির নিকট হতে খুনেরচর নদীরঘাট পর্যন্ত রাস্তা পুনঃ নির্মাণ বাবদ ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে লেভেল ড্রেসিং করে ৫০/৬০ হাজার টাকা কাজ করে পিআইসি এবং অফিস ম্যানেজম্যান্ট এর দায়িত্ব পালনকারী উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেন। তাছাড়া মোহনপুর ইউনিয়নে বাহেরচর আলেমের বাড়ি হতে আশ্রয়ন প্রকল্প পযন্ত রাস্তা পুনঃ নির্মাণ বাবদ ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেখিয়ে নামে মাত্র কিছু কাজ করে বাকি টাকা পিআইসি এবং অফিস ম্যানেজম্যান্ট এর দায়িত্ব পালনকারী উমেদার সালাউদ্দিন নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেন। তাছাড়া গজরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর সাদাকালা ব্রীজ হতে নয়াকান্দি ব্রীজ পযন্ত রাস্তা পুনঃ নির্মাণ প্রকল্পে আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেখিয়ে নামে মাত্র পিআইসি এবং অফিস ম্যানেজম্যান্ট এর দায়িত্ব পালনকারী উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেন।

তাছাড়া ইঞ্জিনিয়ার মো. সালাউদ্দিন এর শ্বশুর বাড়ির এলাকায় ফতেহপুর পশ্চিম এ গোয়ালবহর তাজুল ইসলাম মৃধা বাড়ির ইটের রাস্তা হতে সামিদ প্রধানের বাড়ি পযন্ত রাস্তা পুনঃ নিমাণ এ ২.২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেখিয়ে পিআইসি এবং অফিস ম্যানেজম্যান্ট এর দায়িত্ব পালনকারী ইঞ্জিনিয়ার মো. সালাউদ্দিন নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেন

সকল প্রকল্প ইউনিয়ন থেকে ৫/৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে জনপ্রতিনিধিদেরকে সভাপতি করে কাজ শুরু করা হয়েছে। ইউএনও পিআইও এর যৌথ স্বাক্ষরে পিআইসি সভাপতিকে বিল প্রদান করবে । সে অনুযায়ী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার বিল পাশ করে সভাপতির হাতে পোঁছাবে । ব্যাংক থেকে সভাপতি নিজ স্বাক্ষরে বিল উত্তোলন করবে। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ বিল স্বাক্ষর করে নিজেই হিসাব রক্ষন অফিস থেকে পাশ করে নিজে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ১৫/২০% টাকা রাখেন। পরর্বতীতে পিআইসি সভাপতিকে বিল প্রদান করে।

গম চাল থেকে টন প্রতি ৫০০০/- টাকা দিতে বাধ্য করেন। এ বিষয়ে পিআইসি বলেন এটা কিসের টাকা রাখলেন? তখন তিনি বলেন এটা সরকারি ভ্যাট আইটি। কিন্তু সরকারি পরিপত্র মোতাবেক টিআর/কাবিটা কোন ভ্যাট আইটি কর্তন হয় না। এটা তারা ঘুষ হিসেবে চালিয়ে নিচ্ছেন।

তাছাড়া আরো জানা যায় স্থানীয় ঠিকাদারদের সাথে কথা বলে মতলবে ২৮ টি ব্রীজের অনুকূলে প্রায় ২০ কোটি টাকার বরাদ্দের ১০% টাকা উৎকোচ আদায় করেন ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন আহমেদ।

এ সকল বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার একাধিক চেয়ারম্যান/সচিবদের সাথে পিআইসি সভাপতি/মেম্বারগনের সাথে কথা বললে এগুলোর সত্যতা জানা যায়।

সবার মনে প্রশ্ন ৫ই আগষ্টের আগে তো এগুলো নামে মাত্র ৩%-৪% টাকা নিতো এখন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফ্যাসিস্ট সরকারের উপজেলার পিআইও মতলব উত্তর উপজেলায় আসার পর থেকে কেন ২০% টাকা আদায় হচ্ছে।

তাছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের প্রকল্পের সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে একাধিক চেয়ারম্যান/মেম্বারদের অভিযোগ রয়েছে তারা জানান,

সালাউদ্দিন আহমেদ সাইড ভিজিটে গেলে দশ হাজার টাকার নিচে সাইড ভিজিট ছাড়া আসে না। তাকে টাকা দিলে বিল দ্রুত হবে না হয় বিল ঘুরাবে বাস্তবে তাই হচ্ছে ।

পিআইসি সভাপতিদের সাথে পিআইও সেলিম খান খারাপ ব্যবহারে তারা আরোও বেশি কষ্ট পাচ্ছে। ওনাকে অফিসে গেলে পাওয়াই যায় না পরিপত্র মোতাবেক কাজ না করে নিজের আইনে অফিস পরিচালনা করেন এই কর্মকর্তা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টাকা আদায় এবং নগদ টাকা বিতরনের মূল দায়িত্বে রয়েছে উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ।

 

এ বিষয়ে উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মনির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান , বিষয়টি আমি জেনেছি তিনি মূলত অফিস করেন না আর টাকা ছাড়া ফাইল ছাড়েন না। তবে খতিয়ে দেখা হবে।”




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShasTech-IT