ঢাকা (রাত ১২:৫৫) মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

আখ চাষে বেকারত্ব ঘুচিয়েছে শিক্ষিত যুবক জাহাঙ্গীর আলম



যশোর কেশবপুর উপজেলার মঙলকোট ইউনিয়নের কেদারপুর গ্রামে আখ চাষ করে অধিক মুনাফা ও সাফল্য অর্জন করার চেষ্টা করছেন জাহাঙ্গীর আলম নামে শিক্ষিত বেকার যুবক। জাহাঙ্গীর আলম কেদারপুর গ্রামের সুলতান মোড়লের ছেলে।

বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি আখ চাষ করে আসছেন, গতবারে ক্ষতির মুখে পড়লেও এবার তিনি ভালো লাভের আশা করছেন। তিনি বলেন,গতবার যে কোন কারণে আখের খেতে পচন ধরে, সার কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোন ফলাফল না পাওয়ায় সব আখ নষ্ট হয়ে যায় এবং ব্যাপক টাকার ক্ষতি হয়, কিন্তু ভেঙ্গে না পড়ে  নিজ উদ্যোগে আবারও ১৬ শতক জমিতে ১৫০০ পিচ গেন্ডারী জাতের আখের চারা রোপন করেছি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যবারের তুলনায় এবার ভালো ফলন পাবো বলে আশা করছি।

সরো জমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশে পাশে থাকা অন্যান্য জমিতে কেও আখ কাটছেন কেউ জমি থেকেই আখের ক্ষেত সহ বিক্রি করে দিচ্ছেন, আবার কেউ রোপনের জন্য জমি পরিস্কার পরিছন্ন করছেন।

আখ চাষী জাহাঙ্গীর  আলম বলেন, নভেম্বর -ডিসেম্বর মাসে আখ চাষের মৌসুম, এ সময় আখের চারা রোপন করা হয়, এবং অক্টোবর মাসে আখ কেটে বাজারজাতকরণ করা হয়, এ আখ সাধারনত বড় হতে ২৮০-২৯০ দিন সময় লাগে। চাষীরা বিভিন্ন জাতের আখ চাষ করেন তার মধ্যে কেবল গুড় তৈরীর জন্য (আইএসডি) ঈশ্বরদী ১২, ১৪,১৬,২০ এবং চিবিয়ে খাওয়ার জন্য, বাঁশপাতা, গেন্ডারী ও ২০৮ সহ প্রায় ১৬ জাতের আখ চাষ হয়। এসব আখ প্রতিটি ১৫-২০ টাকা বিক্রি হয়। আখ চাষে বিঘা প্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয় আর আয় হয় প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা।

আখের প্রধান শত্রু শিয়াল ও সামান্য কিছু রোগ বালাই যেমন- মাঝরা পোকা, কান্ডপচা, লালচে রেখা ইত্যাদি যদি সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে রোধ করা যায় এবং সরকারী কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের আখ উৎপাদন বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা যায় তাহলে তাহলে আখের ফলন আরো বাড়ার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে ও বেকারদের কর্ম-সংস্থানের সৃষ্টি হবে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT