লকডাউন কাটিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণপরিবহন চালু
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ বৃহস্পতিবার বিকেল ০৫:৫৭, ৬ মে, ২০২১
সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও আক্রমণ করেছে মরণঘাতী করোনা ভাইরাস। মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জেও লেগেছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক লকডাউন পরিস্থিতিতে চলছে দেশ। এরই মাঝে লকডাউন আবারও বাড়ানো হয়েছে ১৬ মে রোববার পর্যন্ত। কিন্তু নির্দেশনায় শপিংমল, মার্কেট, হাট বাজার খোলা থাকলেও এবং ছোটছোট যানবাহন চলাচলে কোন বাধা না থাকলেও বন্ধ ছিলো দূরপাল্লার বাস। এতে মানুষ পড়েছিলো চরম এক বিপদে।
আর যানবাহন বন্ধ থাকায় এর সাথে যুক্ত শ্রমিকরাও কর্ম হারিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছেন। এমতাবস্থায় ঈদের আগে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে শুধুমাত্র নিজ জেলায় গণপরিবহণ চলচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। ফলে সারা দেশের ন্যায় ৬ মে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাতেও শুরু হয়েছে গণপরিবহন। এর ফলে কিছুটা হলেও পরিবহণ শ্রমিকরা রোজগার করতে পারবে বলে আশাবাদী।
সকালে শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও বিশ্বরোড মোড় থেকে নাচোল, গোমস্তাপুর, শিবগঞ্জ উপজেলা মুখি বাসগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে রাজশাহী অভিমুখে জেলা থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি।
এদিকে রাজশাহী বাস মালিক সমিতির গাড়িগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী জেলার সীমান্ত গোদাগাড়ী উপজেলার বালিয়াঘাটা পর্যন্ত চলাচল করছে বলে রাজশাহী থেকে আগত যাত্রীদের কাছ থেকে জানা গেছে।
তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী যাওয়া এক যাত্রি বলেন, যদি সরকার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী যাবার সহজ ব্যবস্থাটা করতেন। খরচ অনেকটা কম হত।
এ বিষয়ে বাস চালক সেলিম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিশ্বরোড থেকে বালিয়াঘাটা পর্যন্ত ভাড়া মেরে কী করবো। ক টাকা আর কপালে জুটবে। বাড়ি কী নিয়ে যাবো? আর খাবোই বা কী? এখন সময়েই বলে দিবে করোনা পরিস্থিতি কেটে কখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এদিকে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাস্থবিধির সকল নির্দেশনা মেনে তবেই আভ্যন্তরীন রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন গ্রুপ কম যাত্রীতে বাস চালানোর সিদ্ধান্তে হতাশার সুরে বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তের সকল নিয়ম মেনে তবেই আভ্যন্তরীন রুটে অর্থাৎ, নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট ও শিবগঞ্জ রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। আর জেলা হতে রাজশাহীমুখী কোন বাস চলাচল করছেনা। আর তাই ঈদের আগে শুধু আভ্যন্তরীন রুটেই নয় দূরপাল্লার বাস চলাচলে অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।