কৃষককে ন্যায্য মূল্যে দিতেই ধান ও চাউলের দাম নির্ধারন করেছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
আবু ইউসুফ,নওগাঁ বুধবার রাত ০৮:৫৪, ২৮ এপ্রিল, ২০২১
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রধানন্ত্রীর নির্দেশে কৃষককে ন্যায্য মূল্যে দিতেই সরকার এবার ২৭ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল ও ৩৯ টাকা দরে দেড় লাখ মেট্রিকটন আতপ চালের দাম নির্ধারন করে দিয়েছে। মন্ত্রী বলেন- অনেকেই বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলেছেন। আগে আমরা দেখবো যদি কৃষকেরা নায্যমূল্যে থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে বরাদ্দ বাড়ানো হবে। তবে আগে আমাদের কাঙ্খিত লক্ষে পোঁছাতে হবে। কোন ক্রমেই এই লক্ষে পৌঁছাতে গাফলতি করা যাবে না।
তিনি বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ, বগুড়া, দিনাজপুর, নেত্রকোনাসহ ৯টি জেলায় ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বোরো ধান ক্রয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
এসময় খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কৃষক ও মিল মালিকদের সাথে ভালো ব্যবহার করে দেশের খাদ্য মজুদ গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও কোন কৃষক যাতে গুদামে ধান দিতে এসে হয়রানির ও নির্যাতনের শিকার না হয়। এবং লেবাররা যেন অতিরিক্ত ধান না নেয় সেই দিকে আমাদের নজর আছে। তবে ধান-চালের কোয়ালিটির সাথে কোন আপোস নেই। কারন এই চাল আমরা মিলে ক্রয় করি। সেগুলো আবার ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রনের জন্য আমরা দরিদ্রদের মাঝে দেয়া হয়। এছাড়াও সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় যায়। তাই আমরা এই দুর্নামের ভাগি হতে চাই না। তাই দ্যার্থ কন্ঠে বলতে চাই। এর সাথে কোন আপোস হবে না।
মন্ত্রী বলেন, অনেকেই আড়তদার ব্যবসা করেন। কিন্তু তাদের পূর্বের লাইসেন্স নেই। যাদের পূর্বের লাইসেন্স নেই তাদেরকে অবশ্যই পূর্বের লাইসেন্স করে নিতে হবে। এবং সাত দিন পর পর খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে তাদের রিটার্ন দাখিল করতে হবে। সাত দিনে কত ধান ক্রয় করলো, কোন মিল মালিকের কাছে বিক্রয় করলো সেই নাম ও নাম্বার উল্লেখ করে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তাহলে আমরা একটা ধারনা পাব কোন মিলে কত ধান মজুদ রয়েছে। নাহলে আমরা হিসাব পাই না। গত বছর তথ্য বিভ্রান্তের কারনে আমরা একটু বিপদে পড়েছিলাম। তাই সেই বিপদ আমরা আর পড়তে চাই না। তাই আমরা আগে থেকেই সতর্ক থাকতে চাই।
এছাড়াও মিল মালিকদের সময় মত চুক্তি ও সময় মত গুদামে চাল দেয়ার আহবান জানান।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন-সরকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের নায্যমুল্য নিশ্চিত করাসহ নানা সুযোগ সুবিধা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। কারন এ সরকার বিশ্বাস করে যে, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কাজেই প্রধান মন্ত্রীর ইচ্ছায় ও নির্দেশে কৃষকদের সুযোগ সুবিধার মধ্যে কৃষি প্রনোদনা এবং কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচীসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর আওতায় সারা দেশে লাখ লাখ কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রনোদনা বিতরন করা হচ্ছে।
এসময় ভিড়িও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন-খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. নাজমাআরা খানমসহ খাদ্য মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা-স্ব স্ব জেলার প্রশাসক, সাংবাদিক ও স্থানীয় কৃষকরা।