কুষ্টিয়ায় হোটেল মালিকগন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব
মোঃ রফিকুল ইসলাম,কুষ্টিয়া বৃহস্পতিবার রাত ০২:২০, ১ অক্টোবর, ২০২০
কুষ্টিয়া জেলা শহরের বড় বাজার, কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, মজমপুর, চৌড়হাস, ত্রীমোহনী, বটতৈল এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে নামী-দামী খাবার হোটেল ও রেস্তোরা। এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হোটেলগুলোতে স্বাস্থ্য আইন মানা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ বিশুদ্ধ খাবার আইন ১৯৫৯ অনুযায়ী পঁচাবাসি খাবার বিক্রি ও সংরক্ষণ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ কিন্তু কুষ্টিয়ায় এই আইনের কোন কার্যকারিতা নেই। এখানকার অধিকাংশ হোটেলেই প্রসেসিং লাইসেন্স নেই। খাবার হোটেলে সামনের দিক পরিপাটি থাকলেও যেখানে রান্না করা খাদ্য খাবার রাখা হয় সেখানে অনেক নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। পরিবেশন করা হচ্ছে অতিমাত্রায় নোংরা জীবাণু যুক্ত পানি। তাছাড়া স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় ময়দার বস্তা ও নোংরা পাত্রে জিনিসগুলো রাখা হয়। হোটেল কর্মচারীদের বেশিরভাগ চর্মরোগে আক্রান্ত।
অভিযোগ রয়েছে, খাবার হোটেলগুলোতে দিনশেষে যা অবশিষ্ট থাকে তা পরের দিন বিক্রি করা হয়। বিভিন্ন হোটেলে দেশী মুরগির মাংস বলে বিক্রি করা হয় বয়লার। এক ধরনের অসাধু মুরগী ব্যবসায়ী রাতের আঁধারে মরা মুরগি ড্রেসিং করে এসব হোটেলে পরিবেশন করে থাকে। কুকুরে কামড়ানো, জলাতঙ্ক, প্যারালাইস, ক্ষুরা রোগসহ বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত গরু-ছাগল রাতের আঁধারে জবাই করে নামি-দামি হোটেলগুলোতে রাতের আঁধারেই পৌঁছে দেয়া হয়। হোটেলগুলোতে পঁচা মিষ্টি, বাসি খাদ্য দেদারছে বিক্রি করছে।
পঁচা ও বাসি খাবারের ব্যাপারে চিকিৎসকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,এ ধরনের খাবার খেলে মানুষের পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরাসহ নানা কঠিন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অন্যদিকে হোটেলগুলোর খাবারের মান সম্পর্কে কয়েকজন ভুক্তভোগীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, হোটেলের খাবারের মান কখনই বাড়ির খাবারের মতো হয় না, নিয়মিত কয়েকদিন হোটেলের খাবার খেয়ে পেটে আমাশয় ও গ্যাস সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু করার নেই কিছু, বাইরে থাকলে এই সব নিম্ন মানের খাবার জেনে শুনেই খেতে হয়।
অন্যএকজন বলেন,হোটেল গুলোর খাদ্যর দাম নেয়া হয় অনেক বেশি যা কোন ভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়, তাছাড়া হোটেলগুলোতে খাবারের দামের সাথে ভ্যাট কর্তন করা হলেও ক্রেতাদের ভ্যাট পরিশোধের রিসিভ দেওয়া হয় না।
কুষ্টিয়ার সচেতন মহল মনে করে কুষ্টিয়ার হোটেলগুলোতে অবিলম্বে অভিযান চালানো আবশ্যক।