৪ মাস পরেই টিকার বুস্টার ডোজ:-স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি বুধবার দুপুর ০২:০৬, ১৬ মার্চ, ২০২২
কমিয়ে আনা হয়েছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার সময়সীমা। আগে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ছয় মাস পর বুস্টার ডোজ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেটি কমিয়ে এনে চার মাস করা হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে, সেদিন থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে।
বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ২৬তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন (১৭ মার্চ) উপলক্ষে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমরা টিকা দেওয়ার বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ৩ কোটি ২৫ লাখ ডোজ দেওয়া হবে। এর মধ্যে দুই কোটি ডোজ দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে। বাকিটা প্রথম ও বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে বুস্টার ডোজ দেওয়ার সময়সীমা ছিল ৬ মাস। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ছয় মাস লাগবে না, চার মাস পরেই দেওয়া যাবে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরাও সময়সীমা কমিয়ে এনেছি। ইতোমধ্যে যারা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, আমরা তাদের আহ্বান করবো, যাদের চার মাস বা তার বেশি সময় পার হয়ে গেছে, তারা বুস্টার ডোজ নিতে টিকা কেন্দ্রে আসুন এবং টিকা নিন।’
‘বুস্টার ডোজের জন্য আগের নিয়মেই মোবাইলে এসএমএস যাবে। কেউ যদি এসএমএস নাও পায় তাহলে সে আসলে টিকা দেওয়া হবে,’ বলেন জাহিদ মাালেক।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে দেশে ১২ কোটি ৬২ লাখ প্রথম ডোজ, ৯ কোটি ৪ লাখ দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫০ লাখ বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে আমাদের ২২ কোটির বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশে টিকার কোনও অভাব নেই। ৮ কোটির বেশি টিকা মজুত আছে।’
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে কিনা জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। আমরা আছি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার অপেক্ষায়।’
সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।