১২ পৌরসভায় জামানত হারিয়েছে বিএনপি
মেঘনা নিউজ ডেস্ক বুধবার রাত ০২:৫২, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০
৩টি পৌরসভার মধ্যে ৮টিতে প্রদত্ত ভোটের ৮৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এগুলো হলো চাটমোহর, বেতাগী, ধামরাই, গফরগাঁও, খোকসা, কাটাখালী, মানিকগঞ্জ ও শাহজাদপুর। এর মধ্যে গফরগাঁওয়ে নৌকায় ভোট পড়েছে ৯৮ শতাংশের বেশি।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জামানত হিসাবে জমা দিতে হয়। পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা অনুপাতে সর্বনিম্ন ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা জামানত হিসেবে মেয়র পদপ্রার্থীদের জমা দিতে হয়। মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে তাঁর জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। ১২টি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা জামানত রক্ষা করার মতো পর্যাপ্ত ভোট পাননি।
যেসব পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা জামানত হারিয়েছেন, সেগুলো হলো পাবনার চাটমোহর, রংপুরের বদরগঞ্জ, বরগুনার বেতাগী, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, ঢাকার ধামরাই, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, বরিশালের বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুর, রাজশাহীর কাটাখালী, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, মানিকগঞ্জ সদর এবং সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর।
এর মধ্যে গফরগাঁওয়ে প্রদত্ত ভোটের ৯৮ শতাংশই পেয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের অন্তত ১৬১ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছিলেন।
গতকাল ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, এই ফলাফল কিছু কিছু পূর্বনির্ধারিত, কিছু ইভিএমের কারসাজি।
ইভিএমে যে প্রোগ্রাম ঠিক করা থাকে, সেটা সেভাবেই কাজ করে। ১০টা ভোটের ৮টা চলে যাবে নৌকায় আর ২টা যাবে ধানের শীষে, ইভিএমে এমন প্রোগ্রাম ঠিক করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনই হয়নি, এটার আবার মূল্যায়ন কিসের। নির্বাচন কমিশনটাই ভুয়া।
২৩টি পৌরসভার মধ্যে ৮টিতে প্রদত্ত ভোটের ৮৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এগুলো হলো চাটমোহর, বেতাগী, ধামরাই, গফরগাঁও, খোকসা, কাটাখালী, মানিকগঞ্জ ও শাহজাদপুর। এর মধ্যে গফরগাঁওয়ে নৌকায় ভোট পড়েছে ৯৮ শতাংশের বেশি।
নির্বাচনে এই ভোটের হার ও ফলাফল নিয়ে কিছুটা বিস্মিত সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ভোট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের আগ্রহ নেই। এত দিন দেখা গেছে, কাগজের ব্যালটে ভোট পড়েছে ৭০–৮০ শতাংশ। এবার ইভিএমে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়ে থাকলে ভালো। তবে তিনি কিছুটা বিস্মিত। সাবেক এই কমিশনার বলেন, হয়তো মানুষের আস্থা ফিরে আসছে। কিন্তু একটি নির্বাচনে ভোটের হার দেখে বলা যাবে না আস্থা ফিরেছে। তিনি বলেন, যদি ভোটকেন্দ্রের বুথ দখল হয়ে যায়, তাহলে ইভিএমেও কারচুপি হতে পারে।