সুবিদ আলী ভূইয়া এমপির তড়িৎ পদক্ষেপে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব
Alauddin Islam বুধবার রাত ০৮:২২, ৩০ মে, ২০১৮
কোনো অঞ্চলকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার অন্যতম প্রধান সূত্র হল- সে অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হলে দ্রুত এগিয়ে যায় ব্যবসা-বাণিজ্য। গড়ে উঠে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বৃহৎ শিল্পকারখানা।
এই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ব্যাপক সুফল পাচ্ছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি বাজার এলাকা ও দাউদকান্দি পৌরসভাবাসী। এখানকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম বিশ্বরোড-দাউদকান্দি বাজার সড়কটি পুনঃনির্মাণ বদলে দিচ্ছে স্থানীয়দের আর্থসামাজিক চিত্রও। গতি বেড়েছে ঐতিহ্যবাহী দাউদকান্দি বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যের।
দুই বছর আগেও বেহাল দশা ছিল সড়কটির। মালামাল পরিবহনে বিপাকেই ছিলেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য মেজর জে. (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া তড়িৎ গতিতে সড়কটি পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা করেন।
১৫ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়কটি পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে সার্বিক তদারকি করেন দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.) ও দাউদকান্দি পৌরমেয়র নাইম ইউসুফ সেঈন। এতে দ্রুতই আলোক মুখ দেখে গুরত্বপূর্ণ এই সড়ক। কিছু দিন আগে সংযোজন করা হয় এলইডি সড়ক বাতি।
দাউদকান্দি বাজারের কাঁচামালের আড়ৎদার বিপ্লব পোদ্দার জানান, সড়কটি পুনঃনির্মাণের ফলে কমেছে আমদানি খরচ। এখন ট্রাকে করে সরাসরি মাল দোকানের সামনে নিয়ে আসা যায়। আগে বিশ্বরোডে ট্রাক রেখে ছোট যানবাহনে মাল আনতে হতো। পরিবহন খরচ কমায় মালের দামও কমেছে। তাই খুশি পাইকারী ও খুচরা ক্রেতারাও।
বাজারের বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী ও মোল্লা ট্রেডার্সের কর্ণধার হ্বাজী ওমর আলী জানান, সড়কটি উন্নয়নের ফলে সুদিন ফিরেছে আমাদের। ট্রাকে করে চাল আনতে আর আমাদের দুশ্চিন্তা করতে হয় না। সড়কটির উন্নয়ন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই।
সড়কটি উন্নয়নের ফলে বাড়ছে বাজারে দোকানপাটের সংখ্যাও। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন তরুণ উদ্যোক্তারাও।
বিশ্বরোড-দাউদকান্দি বাজার সড়কটি দ্রুত পুননির্মাণ করায় খুশি এই পথে যাতায়াকারী স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণ।
উল্লেখ্য এর পূর্বে প্রায় প্রতি বছরই এই সড়কটি মেরামত করা হতো এবং সরকারি টাকা গচ্চা যেত। পূর্বে ড্রেন না করে সড়ক মেরামত করায় এবং সড়কের দুই পার্শ্বের দোকান পাট ও বাড়ী ঘরের ভিট উচু থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে সড়কটি খালে রূপ নিত এবং বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হত। এবার দুপাশে ড্রেন নির্মাণ এবং আর সি সি সড়ক করায় আগামী ২০/২৫ বছরেও এই সড়কটি নষ্ট হবে না বলে অভিজ্ঞ মহল জানায়।