সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দায় তুরস্ক কাতার মিশর
মেঘনা নিউজ ডেস্ক বুধবার সকাল ১১:৪০, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
সিরিয়া সীমান্তের অভ্যন্তরে ইসরাইলের সামরিক অবস্থান ও দখলের নিন্দা জানিয়েছে কাতার, তুরস্ক এবং মিশর।
জেরুজালেম অবশ্য দাবি করেছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসানের পর ইসরাইলের দখলকৃত গোলান মালভূমিতে যে কোনও হুমকি মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিপরীতে, ইসরাইলি নিরাপত্তা উদ্বেগের সাথে সহানুভূতিশীল হয়ে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপকভাবে এসব হামলায় সমর্থন করেছে।
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিকে শোষণ করা এবং তার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা ইসরাইলের পক্ষে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে দোহা।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে, সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতারপ্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এক বিবৃতিতে আঙ্কারা বলেছে, এই সংবেদনশীল সময়ে, যখন সিরিয়ার জনগণ বহু বছর ধরে যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা কামনা করেছিল তা অর্জনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তখন ইসরাইল আবারও তার দখলদার মানসিকতা প্রদর্শন করছে।
২০১৬ সাল থেকে, তুরস্ক উত্তর সিরিয়ার কিছু অংশ দখল করেছে এবং মার্কিন-সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে, যেটিকে আঙ্কারা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে মনে করে।
মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইসরাইলের আরও সিরিয়ার ভূমি দখলের নিন্দা করে এবং বাফার জোনে আইডিএফের অবস্থানকে একটি নতুন বাস্তবতা প্রয়োগ করার প্রচেষ্টা হিসাবে দেখে।
একইসঙ্গে সৌদি আরবসহ অন্যান্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অনুরূপ নিন্দার জানানোর মিছিলে যোগ দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় ইসরাইলের পদক্ষেপ সিরিয়ার নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারের সুযোগ নষ্ট করবে। আর ইরান ইসরাইলের আগ্রাসী আচরণকে জাতিসংঘের সনদের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।
বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটিতে বিমান হামলা বৃদ্ধি করেছে ইসরাইল। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সিরিয়ার সেনাবাহিনীর একাধিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
আল-জাজিরার ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা সানাদ জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনারা হেরমনের পাহাড়সহ আশপাশের গ্রাম ও শহরগুলোতে প্রবেশ করেছে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সামরিক ট্যাংক দামেস্কের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলেও সিরিয়ার একাধিক সূত্র জানিয়েছে। বাশারের পতনে ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথমবার ইসরাইলি ট্যাংক সিরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করেছে।