সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত
নিজস্ব প্রতিনিধি মঙ্গলবার রাত ১১:০৪, ৪ জানুয়ারী, ২০২২
সারা দেশের বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়াও নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, পাবনা, নওগাঁ ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিন এই শৈত্যপ্রবাহ আর কুয়াশা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে মঙ্গলবার রাজধানীতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দুই তাপমাত্রাই কমেছে। ফলে শীতের অনুভূতি বেড়েছে। অনেক এলাকায় দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কুয়াশা ছিল। কিছু কিছু এলাকায় দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা দেখা গেছে। কুয়াশার পরিমাণ বেশি ছিল নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোতে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।এছাড়া সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঢাকায় ১৪, ময়মনসিংহে ১২.৪, চট্টগ্রামে ১৫.৬, সিলেটে ১৩.৫, রাজশাহী ১০.৫, রংপুরে ১০.৩, খুলনায় ১২.০ এবং বরিশালে ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, সারাদেশে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে গেছে। পরবর্তী তিন দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকায় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯১%। ঢাকায় মঙ্গলবার সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ২৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৪২ মিনিটে।
এদিকে বিশ্বের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজুয়ালের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ঢাকার বাতাসের মান ছিল অস্বাস্থ্যকর। তবে এলাকাভেদে বায়ুর মানের পার্থক্য দেখা গেছে। সবচেয়ে খারাপ বায়ুর মান ছিল মিরপুর এলাকায়।