সারাদিন ক্লান্তিভাব লাগে যেসব কারণে
নিজস্ব প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৬:১০, ২৫ আগস্ট, ২০২২
শরীরের ক্লান্তি দূর করতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সঠিক ঘুম জরুরি। মানসিক ও শারীরিকেভাবে সুস্থ থাকতে দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টার গভীর ঘুমের বিকল্প নেই।
তবে অনেকেই হয়তো সময়মতো ঘুমান না, ফলে সারাদিন শরীরে ক্লান্তির অনুভূতি ছাপ ফেলে। এর পাশাপাশি আরও কারণ আছে যা আপনাকে সব সময় ক্লান্ত বোধ করাতে পারে। জেনে নিন কী কী-
র্যাপ্ত পানি পান না করা
পানি আমাদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিভিন্ন গবেষণার তথ্য অনুসারে, ডিহাইড্রেশন ক্লান্তবোধ আরও হন তবে আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন।
এর কারণ হলো শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে রক্তের প্রবাহ কমে যায়। ফলে শরীরে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছানোর গতি কমে যায়।
আয়রনের ঘাটতি হলে
আয়রনের ঘাটতি আপনাকে শুধু ক্লান্তই করে না, বিরক্তও করে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে পেশি ও কোষগুলোতে কম অক্সিজেন পৌঁছায়ণ।
কম আয়রন গ্রহণের ফলে রক্তাল্পতাও হতে পারে। আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে কিডনি বিন, ডিম, সবুজ শাকসবজি, বাদাম ও টফু পাতে রাখুন নিয়মিত।
সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাওয়া
ব্যস্ততার খাতিরে অনেকেই সকালে নাস্তা না করেই বেড়িয়ে পড়েন কাছে। অথচ সকালের নাস্তা শরীরকে দেয় অ্যানার্জি। আবার সকালে পুষ্টিকর খাবার খেলে মেটাবলিজম রেটও বাড়ে।
যারা সকালের নাস্তা এড়িয়ে যান তারাই বেশি ক্লান্তবোধ করেন। সকালের নাস্তা অবশ্যই কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ভালো ফ্যাটের সমন্বয়ে তৈরি হতে হবে।
ক্লান্ত হওয়ায় ওয়ার্কআউট না করা
অনেকেই শরীরচর্চা করতে পছন্দ করেন না, আবার সময়ও পান না কেউ কেউ। তবে জানলে অবাক হবেন, শরীরচর্চা সুখী হরমোন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, যা আপনাকে আরও উদ্যমী করবে ও দিনের ক্লান্তি দূর করবে।
কঠোর পরিশ্রম ও মানসিক চাপে থাকা
উদ্বিগ্নতা ও কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঘণ্টা ব্যয় করাও কিন্তু; সব সময় ক্লান্তি বোধ করাতে পারে। জীবনের অন্যান্য দিকগুলোকে উপেক্ষা করে কখনো হাসিখুশি থাকা যায় না।
মানসিক চাপ ক্লান্তির মাত্রা বাড়াতে পারে। মনে রাখবেন, মানসিক চাপ সবচেয়ে বড় নীরব ঘাতক।
স্মার্টফোন বা চ্যাটিংয়ে আসক্তি
অত্যধিক স্ক্রিন টাইম শরীরের সিস্টেমকে ট্র্যাক বন্ধ করে দেয় ও ঘুমে বাধা দেয়। ফলে সারাদিন আপনি ক্লান্তবোধ করেন।
অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ
কফিপ্রেমী অনেকেই আছেন, যারা সকাল থেকে রাতে ঘুমানো অব্দি বেশ কয়েক কাপ; এই বিশেষ পানীয় পান করে। ক্লান্তিবোধ করলেই বেশিরভাগ মানুষ কফির মগে চুমুক দেন।
কফি আপনাকে জাগ্রত রাখে কিন্তু; আপনার সিস্টেমে খুব বেশি ক্যাফেইনের প্রয়োজন নেই। এটি আপনার ঘুমের পাশাপাশি জেগে ওঠার সময়কে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতে পারে।