সাঘাটায় ধর্ষণ মামলার আসামী ৯ বছরের শিশুর মুক্তির দাবিতে মানব বন্ধন
আসাদ খন্দকার ,সাঘাটা,গাইবান্ধা শনিবার রাত ১০:২৫, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার ৯ বছরের শিশুর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল শনিবার গাইবান্ধা শহরের ১নং ট্রাফিক মোড়ে এ মানব বন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানব বন্ধনে বক্তব্য দেন- অভিযুক্ত শিশুটির বাবা, স্থানীয় কাচারীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. মোজাফফর বেপারী, সমাজ সেবক আব্দুল জলিল, বোনারপাড়া সরকারি কলেজের ছাত্র সুমন সরকার, অসীম সরকার প্রমুখ।
অভিযুক্ত শিশুটির বাবা বলেন, পারিবারিক ভাবে আমাদের হেনস্তা করতে পরিকল্পিত ভাবে মামলাটি করা হয়েছে। আমার শিশু ছেলেকে নিজ বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিয়ে যায় সাঘাটা থানা পুলিশ। কয়েক ঘণ্টা থানায় আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ মামলায় কোর্টে চালান করে। আমার ছেলে একটি শিশু মেয়েকে জোর করে ধর্ষণ করার উপযুক্ত বয়সে এখনও পৌঁছায়নি। আমার ছেলের মুক্তির দাবি জানাই। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মানববন্ধনে বক্তারা গ্রেফতার হওয়া শিশুটির নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ৯ বছরের শিশুটি গত শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পাশের বাড়ির পাঁচ বছরের এক শিশুকে জোড় করে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় নির্যাতনের শিকার শিশুটির চিৎকারে সে পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষণের স্বীকার শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার সাক্ষী সাত বছর বয়সী দুই শিশু। ঘটনার পাঁচদিন পর বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে সাঘাটা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
সাঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বেলাল হোসেন বলেন, নির্যাতনের শিকার শিশুর জবানবন্দির প্রেক্ষিতে ধর্ষণ মামলা নিয়ে অভিযুক্ত শিশুটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় ৯ বছরের ওই শিশুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত শিশুটি স্থানীয় আলোক বর্তিকা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। গ্রেফতারের পর সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটিকে আদালতে পাঠানো হলে আদালতের বিচারক শিশুটিকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের মাধ্যমে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।