ঢাকা (রাত ১১:৫৭) সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

সাঁওতালরাও দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল : সুলতানা কামাল



ক্ষমতা পেতে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও তারা সেই চেতনার বাইরে গিয়ে সাঁওতাল হত্যাকারীদের সঙ্গে আপসের নীতি অনুসরণ করেছে। এ সাঁওতালরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় বাঙালিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাই নিরীহ সাঁওতালদের জমিতে হাত দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল।

 

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাগদাফার্মের জমিতে ইপিজেড নির্মাণ বন্ধের দাবিতে বাগদাফার্মের কাটামোড় এলাকায় সাঁওতালদের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সুলতানা কামাল বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মানবাধিকার রক্ষা করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সমতলের ‘আদিবাসীদের’ মানবাধিকার রক্ষায় রাষ্ট্র পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এ মানবাধিকার কর্মী নিহত তিন সাঁওতাল- শ্যামল হেমরম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডুর হত্যার ন্যায় বিচার দাবি করেন।

 

সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, এএলআরডি, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, জনউদ্যোগ, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ এই সমাবেশের আয়োজন করে।

 

সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে সাঁওতাল সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা কাজল দেবনাথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রফিক আহম্মেদ সিরাজী, নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচিত্রা কিরকি, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পষিদের সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবীর তনু, আদিবাসী নেতা প্রিসিলা মুরমু প্রমুখ।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT