শ্রম-শ্রমিক আর শ্রমিকতার মে দিবস আজ
আরিফুল ইসলাম বুধবার দুপুর ০২:১০, ১ মে, ২০১৯
আরিফুল ইসলামঃ সকলেরই এটা জানা যে, মহান মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৮৬ সালের পহেলা মে শ্রমিকরা আট ঘণ্টা কাজের অধিকারের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের সব শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন।
শিকাগোর হে মার্কেটের সামনে বিশাল শ্রমিক জমায়েত ও বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ১১ জন। এরপরই ওই শ্রমিক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। গড়ে ওঠে শ্রমিক-জনতার বৃহত্তর ঐক্য। অবশেষে তীব্র আন্দোলনের মুখে শ্রমিকদের দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
অধিকার আদায়ে শ্রমিকদের আত্মত্যাগের স্মরণে ১৮৮৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ২য় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে দিনটিকে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের সব দেশেই পালিত হচ্ছে দিবসটি।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে মে দিবস পালন করা হয়ে থাকে। দিনটি ১৯৭২ সাল থেকেই সরকারি ছুটির দিন।
কিন্তু যাদের রক্তে রাঙানো সংগ্রামের স্বীকৃতি এ দিবস, সেই শ্রমিক ও মেহনতী মানুষ রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কোনো ক্ষেত্রেই আজও এদেশে তাদের ন্যূনতম মর্যাদা ও অধিকার লাভ করেনি।
এই সমাজে শ্রমিকদেরকে মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয় না। একজন শ্রমিক মরলো কি বাঁচলো তাতে যেন কিছুই আসে যায় না। একজন গার্মেন্টসের শ্রমিক রহিমা, সালেহা, মকবুল মরলে পরদিনই ১০০ টাকায় আরেকজন হালিমা, মাজেদা, শামসুলকে পাওয়া যাবে। একজন ‘মানুষ’ হিসেবে নয়, তাদের মূল্য কেবল এই কারণে যে, তারা শ্রমশক্তির যোগানদাতা।