শিমুলিয়া রুটে অতিরিক্ত যাত্রীর বিনিময়ে টাকা না দেওয়ায় লঞ্চ স্টাফকে টার্মিনাল ইন্সপক্টরের মারধর
মীর ইমরান,মাদারীপুর মঙ্গলবার রাত ০৮:০৭, ২৯ মার্চ, ২০২২
অতিরিক্ত যাত্রীর বিনিময় টাকা না দেওয়ায় লঞ্চ স্টাফকে টার্মিনাল ইন্সপক্টরের মারধরের অভিযাগে; বাংলাবাজার শিমুলিয়া রুটে দেড় ঘণ্টা লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল।
পরে লঞ্চ মালিক সমিতির হস্তক্ষপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে যাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
ঘাট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে বাংলাবাজার ঘাটে এমভি আকাশ লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে লঞ্চটির স্টাফ সেলিম শেখের কাছে ৫শ টাকা দাবী করেন টার্মিনাল ইন্সপক্টরের আক্তার হোসেন।
লঞ্চটির ষ্টাফ সেলিম শেখ ১শ টাকা দিতে রাজী হয়। এ নিয়ে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইন্সপক্টর আক্তার হোসেন ষ্টাফ সেলিম শেখকে মারধর শুরু করে। এতে সেলিম শেখ রক্তাক্ত হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘাটগুলাতে অবস্থানরত লঞ্চ শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়। তারা বাংলাবাজার শিমুলিয়া রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির উদ্যোগে বিচারের আশ্বাস দিয়ে দেড় ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
আহত স্টাফ সেলিম শেখ বলেন, প্রত্যকটি লঞ্চের ট্রিপ প্রতি টিআই সাহেব ১শ টাকা করে নেয়। কিছুদিন ধরে লঞ্চগুলা থেকে বেশি টাকা নিচ্ছে। আজ সে আমাদর লঞ্চে বেশি যাত্রী দেয়া হয়েছে দাবী করে ৫শ টাকা দাবী করে। দিতে রাজী না হওয়ায় সে আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। আমরা তার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল ইন্সপক্টর আক্তার হোসেন টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এখন কালবশাখী ঝড়ের সময়। ওই লঞ্চটিতে নাবিক সংকট থাকার কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে লঞ্চটি বন্ধ রাখতে বলি। তাই স্টাফরা আমাক ধাক্কা দেয়। আমিও ধাক্কা দিলে ওই স্টাফের কানের কাছে কেটে যায়। তাই স্টাফরা এ নিয়ে অভিযোগ করেছে।