ঢাকা (সকাল ১০:০৬) মঙ্গলবার, ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

লোহাগড়া ইউনিয়নে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় মহিলাসহ ৩ জন আহত;বাড়ি ভাংচুর

ইকবাল হাসা,নড়াইল ইকবাল হাসা,নড়াইল Clock রবিবার রাত ০১:১৫, ১৬ জানুয়ারী, ২০২২

নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৩ জন আহত হয়েছে। আহত মিলন আলীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

অন্যান্যদের লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় একটি বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া ইউনিয়নে গত ২৬ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার(১৫জানুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চরবকজুড়ি গ্রামের মৃত রতন আলীর ছেলে মিলন আলী(২৮) নিজ বাড়ির পার্শ্বে ক্ষেতে কাজ করছিলেন। নির্বাচনের জের হিসাবে এ সময় প্রতিপক্ষ একই গ্রামের সুরুজ মোল্যার নেতৃত্বে রিপন, ইকবাল, রাসেল, সোহাস, আলামিন, ইমরান, মাসুম, সেলিম ও মহিলাসহ ১০-১৫ জনে রামদা, হকি স্টিক, হাতুড়ী নিয়ে মিলন আলীকে ধাওয়া করে। এসময় মিলন আলী প্রাণে বাঁচার জন্য দৌঁড়ে ক্ষেত পার্শ্বের মিন্টু আলীর বাড়ির ঘরে আশ্রয় নেন। সন্ত্রাসীরা মিন্টু আলীর ঘরের মধ্যে ঢুকে খাটের নিচ থেকে মিলন আলীকে টেনে হেঁচড়ে বের করে এনে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে ।

এসময় মিলন আলীর চিৎকারে বাড়ির মালিক মিন্টু আলীর স্ত্রী পারভিন সুলতানা(৩৫) ঠেকাতে গেলে ওই সন্ত্রসীরা পারভিন সুলতানা ও তার ছেলে মেহেদী হাসান(১০)কে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করলে আহত মিলন আলীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি আহত পারভিন সুলতানা বলেন, আমি ও আমার দেবর মিলন আলী বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমিন খন্দকারের পক্ষে কাজ না করায় তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাদের মারপিট করে বাড়িঘর ভাংচুর করেছে এবং আমার দেবর মিলন আলীকে এলোপাতাড়ী কুপিয়েছে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ খালিদ সাইফুল্লাহ বিল্লাল বলেন, আহত মিলন আলীর মাথায় ও পায়ে মারাত্বক জখম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহতরাসহ ঘটনাস্থল পাশ্ববর্তী লোকজন জানায়, হামলা ও ভাংচুরের সময় চেয়ারম্যান নাজমিন খন্দকার ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন।

লোহাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমিন খন্দকার বলেন, আমি মারামারির খবর শুনে ঘটনাস্থলে ও হাসাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলাম। উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর ওই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী নাজমিন খন্দকার ও বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল শিকদার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নাজমিন খন্দকার বিজয়ী হন।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু হেনা মিলন বলেন, ঘটনা শুনেছি, তবে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT