ঢাকা (সকাল ৬:০০) শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

লোহাগড়ার পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমানের উন্নয়ন ভাবনা

<script>” title=”<script>


<script>

আমি মানুষের সেবা করতে এসেছি। পৌরসভার নাগরিকদের সেবা খাতের নানা দুর্ভোগ দূর করতে চাই। নাগরিকরা তাদের ন্যায্য পাওনাটা পৌরসভা থেকে বুঝে নেবে সেটাই হবে আমার স্বচ্ছতা। দুর্নীতি ও ভোগান্তিমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই পৌরসভায়। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, জবাব দিহিতা, রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সড়ক বাতি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ সেবা খাতে আমুল পরিবর্তন এনে পৌরবাসীর সেবা নিশ্চিত করতে আমি বদ্ধপরিকর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা পৌর নির্বাচনে উপহার হিসাবে নৌকা প্রতিক দিয়েছিলেন। বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে দীর্ঘদিন যাবত মানুষের সেবা করছি। এখন আমি জনপ্রতিনিধি। মানুষকে অধিক সেবা দেবার প্রতিশ্রতি দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হবে। আমি স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী, দুর্নীতি-অনিয়ম আমার শত্রু। দুর্নীতি-অনিয়ম করে আমার সামনে আসা যাবে না। নাগরিকরা যে কোন সময় সেবার জন্য আমার কাছে আসলে আমি দ্রæত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে থাকি।

আলাপকালে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ও লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ মসিয়ূর রহমান। স্বাক্ষাতকার নেবার সময় যে বিষয় নিয়ে আলাপ হয় তা তুলে ধরা হলো।

মেয়র হিসাবে ক্ষমতা গ্রহণের পর নাগরিকদের জন্য আপনি বিশেষ কি সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, নাগরিকরা জন্মনিবন্ধন নিয়ে নানা সময়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। এখন অল্প খরচে দ্রুততার সহিত নাগরিকরা ভোগান্তি ছাড়াই ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট নিতে পারছেন। আমি নাগরিকদের জন্য ডিজিটাল সেন্টার খুলে দ্রুত সেবা দিচ্ছি।

লোহাগড়া বাজার এলাকায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। রাস্তার উপর কাঁদামাটি লুটোপটি খায় ফলে ব্যবসায়ী ও নাগরিকরা যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হন। এ সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ কি নিচ্ছেন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বাজারের জলাবদ্ধতা নিরসন ও পয়ঃনিস্কাসনের জন্য মাস্টারপ্লান করা হয়েছে। বাজারকে দৃষ্টিনন্দন করবারও পরিকল্পনা রয়েছে।

পৌর ভবন নির্মাণ বিষয়ে মেয়র বলেন, লোহাগড়া ও লক্ষীপাশার রাজনীতিবিদসহ বোদ্ধামহলের সাথে আলোচনা করে উপযুক্ত স্থানে পৌর ভবন নির্মাণ করা হবে। আগে সঠিক পথে পৌর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ভবন নিয়ে দুপারে কোন দ্বন্দ থাকবে না। পৌর ভবন বিষয়ে নড়াইল-২ আসনের সুযোগ্য সংসদ সদস্য মাশরাফি-বিন মর্তুজা ইতিমধ্যে ডিও লেটার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দিয়েছেন। জনদুর্ভোগ কমাতে ময়লা-আবর্জনা বা বর্জ সঠিক স্থানে স্থানান্তরের বিষয়ে মেয়র বলেন, আমি দ্রততার সহিত বর্জ ফেলানোর জন্য ডাম্পিং সেন্টার করবার চেষ্টা করছি।

পৌর উন্নয়নে বর্তমান সংসদ সদস্য কতটুকু ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করেন এ প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, নড়াইল উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা সংসদ সদস্য মাশরাফি-বিন মর্তুজা ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে একশ কোটি টাকার ডিও লেটার দিয়েছেন। পৌরবাসীর সেবা দেবার জন্য তিনি সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এমপি মহোদয় ওয়াদা করেছেন পৌর উন্নয়নে পাঁচ বছরই আমার পাশে থাকবেন।

পৌর উন্নয়নে বিগত মেয়রদের ব্যর্থতা কি কি ছিল প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, মশক নিধন, পৌর ট্যাক্স আদায়, বর্জ ও পয়ঃ নিস্কাসনে ব্যর্থতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নেও ব্যর্থতা রয়েছে। মেয়র আলহাজ্ব সৈয়দ মসিয়ূর রহমান আরো বলেন, পৌরবাসীকে বেশি বেশি সেবা দিতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে পৌরসভাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীতকরণের জন্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। গ্রেড-২ তে উন্নীত হলে বরাদ্দ বাড়বে। উন্নয়ন বাড়বে। সেবার মান বাড়বে।

আলাপকালে আরো জানা যায়, বর্তমান পৌর মেয়র এর পিতা মরহুম সৈয়দ মোশারেফ হোসেন ৬নং জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর পিতার ব্যাপক সুনাম ও জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে লোহাগড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব সৈয়দ মসিয়ূর রহমান নিজেও ৬নং জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে জনসেবা করেছেন।

আলাপকালে উপস্থিত লোহাগড়া পৌরসভার সচিব মোঃ তফিকুল আলম জানালেন, লোহাগড়া পৌরসভা ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনিুরুজ্জামান ২০০৩ সালের ১১ মে প্রথম পৌরসভার প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ পেয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে প্রথম নির্বাচনে এ্যাডঃ নেওয়াজ আহম্মদ ঠাকুর চেয়ারম্যান(মেয়র) নির্বাচিত হন। তিনি পরপর দু মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলা যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি মোঃ আশরাফুল আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মেয়র নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

সর্বশেষ ২০২১ সালের ২ নভেম্বর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ মসিয়ূর রহমান বিপুল ভোটে বিজয়ী হবার পর গত ২ ডিসেম্বর পৌরসভার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পৌরসভার আয়তন ১৪.৫৬ বর্গ কিলোমিটার। ওয়ার্ড সংখ্যা-৯। জনসংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার। ভোটার সংখ্যা প্রায় ২১ হাজার।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT