রক্ষকের বেশে এক ব্যাংক ম্যানেজার যখন ভক্ষক!
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার মঙ্গলবার দুপুর ০২:৩২, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪
দাউদকান্দি থেকে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দী। এমন অভিযোগের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে।
সুঠাম দেহের অধিকারী। চেহেরায় মায়াভরা। কথার ফুলঝুরিতে গ্রাহকদের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক গড়ে তোলায় ছিলেন দক্ষ এই ব্যাংক ব্যস্থাপক।
স্থানীয় শাখার গ্রাহকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক গড়ে ব্যক্তিগত লেনদেন করার প্রবণতা থেকে লোভের ফাঁদে আটকে ফেলেন অর্ধশতাধিক গ্রাহককে। অধিক মুনফা দিবেন বলে অনেককের থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ব্যাংক কর্মসময়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংকের স্থানীয় গ্রাহকরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ছুটে যান দাউদকান্দি পৌরসভার বাজার এলাকার পূবালী ব্যাংক শাখায়। দেখেন নিজের গচ্ছিত আমানত ঠিক আছে কী না। আবার অনেকেই ইতিমধ্যে নিজের আমানতের টাকা এই ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নিয়ে আসছেন।
এদিকে এই ব্যাংকের সাবেক এই ম্যানেজারকে নিয়ে চাঁদপুর স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ প্রকাশ করলে দাউদকান্দি পূবালী ব্যাংক শাখার গ্রাহকদের টনক নড়ে।
জানা যায়, চাঁদপুর পূবালী ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দীর নিখোঁজের পর চাঁদপুর সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন ঐ শাখার বর্তমান ব্যবস্থাপক।
বাজার এলাকার টিটু নামের এক ব্যবসায়ী জানান, ” এই শাখার সাবেক ব্যবস্থাপকের মধ্যস্থতায় কাউসার নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার কোটি টাকার ওপরে পাওনা আছি। আমি এখন ম্যানেজারকে খোঁজে পাচ্ছি না”।
কবির খন্দকার নামের এক গ্রাহক দাবি করেন এই ম্যানেজার থেকে আমি পাঁচ লাখ টাকা পাই। শুনছি সে নাকি উধাও হয়ে গেছে।
তবে এ বিষয়ে দাউদকান্দি পূবালী ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপক ফখরুল ইসলাম জানান,” শ্রীকান্ত নন্দী এই শাখা থেকে তিন মাস আগে চলে গেছেন। ওনার সঙ্গে আমার সঙ্গে দেখা হয়নি, কথাও হয়নি। আমি ওনার সম্পর্কে জানিনা, তবে এ বিষয়ে আমি শুনেছি। এতে ব্যাংকের গ্রাহকদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
কেউ যদি ওনার সঙ্গে ব্যক্তিগত লেনদেন করে থাকেন তাহলে এতে ব্যাংকের কোনো কিছু করার নেই। তবে পূবালী ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বিষয়টি অবগত আছেন।”