যশোর শহরের ৩টি হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
মোরশেদ আলম,যশোর মঙ্গলবার দুপুর ০২:০১, ১ ডিসেম্বর, ২০২০
লাইসেন্স, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্সসহ অনেক কিছু না থাকায় যশোরের ৩টি স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে ওই ৩টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। দিনের পর দিন বিধি উপেক্ষা করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চলা যশোর শহরের ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাগজপত্র হালনাগাদ করতে সময় বেধে দেয় স্বাস্থ্যবিভাগ পরিচালিত মোবাইল কোর্ট।
এছাড়া চলতি সপ্তাহে যশোর শহরে, ঝিকরগাছা ও চৌগাছায় পরিচালিত অভিযানে ১০টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যশোরে স্বাস্থ্যসেবা সেক্টরে অনিয়ম অসংগতি রুখতে এ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন।সিভিল সার্জন অফিস ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্র জানিয়েছে, সংঘবদ্ধ অসাধু চক্র যশোর শহরসহ অনেক স্পটে অবৈধভাবে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছে।
অনেক প্রতিষ্ঠানকে দফায় দফায় সতর্ক করলেও তারা সতর্ক না হয়ে উল্টো রোগী সেবার নামে প্রতারণায় নেমেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কোন অনুমোদন ছাড়াই শয্যাও খোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি নেই, ডাক্তার নার্স নেই। এরপরও প্রতিদিন রোগী দেখা হচ্ছে, রোগী ভর্তি রাখা হচ্ছে, প্যাথলজিক্যাল নানা পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হচ্ছে। এসব ভয়ংকর সব ব্যাপার প্রতিরোধ করতে গত জুলাই ও আগস্টে বার বার নোটিশ করা হয়, অভিযান চালানো হয়। তারপরও শুধরাইনি অনেকেই। যশোর শহরের ৩টি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ৩০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টায় অভিযান পরিচালিত করা হয়।
যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীনের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের মিড পয়েন্ট কর্তৃপক্ষকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির কোনো অনুমোদন নেই। প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্রও নেই। সার্বক্ষনিক একজন মেডিকেল অফিসার, সার্বক্ষনিক ডিপ্লোমা নার্স থাকতে হবে, যা এই প্রতিষ্ঠানে নেই।
এছাড়াও আধুনিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কাগজপত্র হালনাগাদ করতে ৭ দিনের সময় বেধে দেয়া হয়। শহরের ফোর্টিস কর্তপক্ষকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানে শয্যা নেই, ডাক্তার নেই, নার্স নেই। এরপরও পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হয় রোগীর। অভিযানিক টিমে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার রেহ নেওয়াজ রনি। যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ মোবাইল কোর্ট অভিযানে সহযোগিতা করেন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, অনেকগুলো নেই নেই এর মধ্যে চলছে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদেরকে বারবার নোটিশ করা হয়েছে কাগজপত্র হালনাগাদ করতে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কিছুই করেননি।
লাইসেন্স না থাকা, প্যাথলজি সমস্যা, ডাক্তার নার্স না থাকায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের ত্রুটিগুলো শুধরে নিতে সময় বেধে দেয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।