মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবনতির খবর পেয়ে ছুটে গেলেন হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি
মোঃ কামরুজ্জামান শনিবার রাত ০৮:১০, ৬ জুন, ২০২০
মোঃ নাজমুল হোসেন রাজা,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্নার অনন্য নজির রাখলেন। রাজনীতির মাঠের দ্বন্দ্ব ভুলে ছুটে গেলেন সাবেক মন্ত্রী অসুস্থ মোহাম্মদ নাসিমের শয্যার পাশে। শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার হয়েছে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর ও সদর উপজেলার একাংশ) আসনের এই সংসদ সদস্যের। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইডজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। হঠাৎ শুক্রবার ভোরে ব্রেইন স্ট্রোক করলে জরুরি অস্ত্রোপচার করতে হয়। মোহাম্মদ নাসিমের হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান দেশের স্বনামধন্য কার্ডিয়াক সার্জন ডা. হাবিবে মিল্লাত। তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নাসিমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন। তার চিকিৎসার তদারিক করেন। এমনকি যতক্ষণ তার দেহে অস্ত্রোপচার চলছিল ততক্ষণ ঠাঁয় দাঁড়িয়েছিলেন হাসপাতালের করিডোরে। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের সদর ও কামারখন্দ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন হাবিবে মিল্লাত মুন্না। বয়সে তরুণ, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও অদম্য কর্মস্পৃহার কারণে কম সময়েই স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। বিশেষ করে তরুণরা তাকে ইতিবাচকভাবেই গ্রহণ করে। একইভাবে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছেও গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয়তায় অন্যদের তুলনায় এগিয়ে যান তিনি। নেতাকর্মী-সমর্থকদের বড় অংশটি ছিল তার সঙ্গে। এসব কারণে একটা সময় সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগে মোহাম্মদ নাসিম ও ডা. হাবিবে মিল্লাতের দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা হতো। নানা গুঞ্জনও ছিল এ নিয়ে। রাজনৈতিক সৌহার্দ্য ও দায়িত্বশীলতার মনোভাব নিয়ে অসুস্থ মোহাম্মদ নাসিমের কাছে ছুটে গেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. হাবিবে মিল্লাত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবেই। কিন্তু শেষ বিচারে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধই মূল কথা। একে অন্যের বিপদে এগিয়ে আসাই প্রকৃত রাজনীতিকের কাজ। আর এই কাজটি রাজনীতিকরা নিরলস আন্তরিকতার সঙ্গে করেন বলেই সাধারণ মানুষের চোখে তারা সম্মানের পাত্র। জাতীয় চার নেতার একজন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সন্তান মোহাম্মদ নাসিম গত ১ জুন শারীরক দুর্বলতা নিয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তার করেনাভাইরাস পজিটিভ আসে। ৭২ বছর বয়সী এই নেতা সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদে স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমন্ডলীর সদস্য। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেন।