মেয়ে থেকে ছেলে হয়ে গেলো ১০ম শ্রেণির ছাত্রী : ডাক্তারী পরীক্ষায় স্ব-অবস্থানে
আসাদুজ্জামান খন্দকার, সাঘাটা, গাইবান্ধা বুধবার রাত ০১:১৯, ৩১ মে, ২০২৩
এই সুমনা হঠাৎ মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর হওয়ার ঘটনায় অত:পর ডাক্তারী পরিক্ষার পর স্ব- অবস্থানে মেয়েই আছে বলে দাবি স্বজনদের। জানা গেছে গত ২২ মে রাতে হঠাৎ করে সুমনা আক্তার ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে।
এমনি এক অদ্ভুত খবর এলাকায় ছরিয়ে পরলে উৎসুক মানুষের ঢল নামতে থাকে ওই বাড়িতে। এরই মধ্যে রোববার (২৮ মে) ভোরবেলা সুমনা আক্তার ফের মেয়েতে পরিণত হয়েছে বলে জানায় সুমনা ও তার পরিবারের লোকজন।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝারাবর্ষা গ্রামে। এই গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও লাভলী বেগম দম্পতির সন্তান সুমনা আক্তার। , সুমনা আক্তার ছোটবেলা থেকে পুরুষদের মতো অঙ্গিভঙ্গিভাবে চলেছিল। এরই একপর্যায়ে ২২ মে রাতে প্রকৃতির খেয়ালে হঠাৎ করে সুমনার বুকের স্তন দেবে গিয়ে পুরুষের বুক ধারণ করে। একই সঙ্গে পুরুষাঙ্গও সৃষ্টি হয় তার। এই ব্যাপারটি ২৩ মে সকালে সুমনা আক্তার প্রথমে তার দাদিকে খুলে বলে।
একপর্যায়ে বাবা ও মা-সহ পরিবারের অন্যান্যরাও নিশ্চিত হয়। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে দুশ্চিন্তায় পড়েন সবাই। এছাড়া ঘটনাটি গোপন রাখেন তারা।এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ মে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়। সুমনা আক্তার মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে— এমন খবর পেয়ে শত শত মানুষ সুমনাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায়। সেই সঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীদের কানে আসা এই ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। এরপর এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় তোলপাড়।
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়া সুমনাকে এক নজর দেখার জন্য অসংখ্য মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করে।
সরেজমিনে রোববার ২৮ মে সরেজমিনে গিয়ে সুমনা আক্তার ও পরিবারের লোকজন জানায়, আজ ভোরবেলা হঠাৎ করে সুমনা আক্তার আগের অবস্থায় ফিরেছে। অর্থাৎ মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত এই সুমনা এখন মেয়েই।
রোববার বিকেলে সুমনাকে সাঘাটার বোনারপাড়া বাজারস্থ ঈসা মেডিসিন কর্ণার নামের একটি চেম্বারে বসা মেডিসিন-গাইনী ও চর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ডা. মোছা. রাশেদা খাতুন প্রাথমিকভাবে সুমনা আক্তারকে নানাভাবে দেখার পর তিনি স্বজনদের বলেন, ছেলে নয় মেয়েই রয়েছে সুমনা আক্তার। এদিকে, সুমনা আক্তার বলে, গত ২২ মে রাতে হঠাৎ করে আমার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখায়। এক কথায় আমি পুরুষ হয়েছি। তাৎক্ষণিক ব্যাপারটি আমার দাদি দৌলতুন্নেছাকে খুলে বলি। এরপর রোববার (২৮ মে) ভোরবেলায় ঘুমের বিছানায় থাকাবস্থায় হঠাৎ করে আমি আগের অবস্থায় ফিরেছি। অর্থাৎ আমি এখন মেয়েই আছি।
সুমনা আক্তার স্থানীয় ঝাড়াবর্ষা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। আমি প্রাথমিকভাবে দেখি যে, সত্যি সে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। এতে আমি অবাক হই এবং বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করি। কয়েকদিন পর রোববার (২৮ মে) ভোরবেলায় আবার মেয়েতে পরিণত হয় সুমনা। এ নিয়ে তার বাবা ও মা চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। এমনকি এই সব কাণ্ডে সুমনার বাবা শহিদুল ইসলাম বাড়ি থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুজ্জামান বলেন, ব্যাপারটি লোকমুখে শুনেছি। তবে হাসপাতালে কেউ পরামর্শ নিতে আসেনি।