মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্যাগী সভাপতি আকরাম, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হতে চায়
রফিকুল ইসলাম,কুষ্টিয়া শুক্রবার রাত ১০:৩৩, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার প্রান্তিক একটি ইউনিয়নের নাম মালিহাদ ইউনিয়ন।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্যাগী সভাপতি আকরাম হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের হাল ধরে রেখেছেন। তার গতিশীল নেতৃত্বেই আজ মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়তে সক্ষম হয়েছে। মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আদর্শের কর্মীতে ভরপুর। আর এই অবস্থান তৈরীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন আকরাম হোসেন। বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসীন ছিল, তখনও তিনি অনেক হামলা-মামলা, জেল-জুলুম সহ্য করে আআওয়ামীলীগের হাল ধরে রেখেছিলেন। আজ অবধি তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি মালিহাদ ইউনিয়ন আওমীলীগের এক উজ্জল নক্ষত্র ও দুঃসময়ের কান্ডারী। বাংলাদেশ আওয়ালীগের চরম দূঃসময়ে ১৯৭৬ সালে চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যেমে রাজনীতি জীবনে পর্দাপণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী অব: মেজর বজলুল হুদার এলাকায় সক্রিয়ভাবে রাজনীতি শুরু করেন। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তাকে অনেক চড়ায়-উৎড়ায় পার করতে হয়েছে।
আধুনিক কুষ্টিয়ার উন্নয়নের রুপকার, মাটি ও মানুষের প্রাণপ্রিয় জননেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ (এমপি) এর হাত ধরে ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন আকরাম হোসেন । ১৯৯৬ সালে মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। অতঃপর ২০০৩ সালে তিনি মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ২০০৩ সাল থেকে শুরু করে আজ অবধি একটানা তিনি মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের জন্য এক নিবেদিত প্রাণ নেতা। বিভিন্ন বিচার-শালিসী মীমাংসা, ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি রোধ করে থাকেন সৎ, নিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন তিনি এক আপোষহীন নেতা ।
তিনি মহামারী করোনাকালীন সময়ে ইউনিয়নবাসীকে সচেতন করাসহ ব্যাপক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। লকডাউনের সময় কর্মহীন মানুষদের মাঝে ত্রাণমাসগ্রী বিতরণসহ বিভিন্নভাবে তিনি ইউনিয়নবাসীকে সাহায্য-সহযোগীতা করেছেন।
তিনি বলেন, দলীয় দায়িত্ব পালন করেও মালিহাদ ইউনিয়নকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি। যদি আমাকে এলাকাবাসী চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে তাহলে আমি আমার ইউনিয়নকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডেল্টা প্লান বাস্তাবায়ন করে গ্রামকে শহরয়ান করতে ভূমিকা রাখব । তিনি বলেন, যেটুকু সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতা ইউনিয়নে আছে, আমি নির্বাচিত হলে সেটুকুও নির্মূল করব।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমার বসবাস গ্রামে, সেহেতু আমি গ্রামের মানুষের দুঃখ-কষ্ট আমার জানা আছে। সেসব নিয়ে কাজ করে মালিহাদ ইউনিয়নের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করব।