মানবকল্যাণে কাজ করে যাওয়াই আমার নেশা:-মেহেদী হাসান আসিফ
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা রবিবার রাত ০১:০১, ১৭ এপ্রিল, ২০২২
এই ঠুনকো জীবনে মানুষের জন্য যদি কিছু করতে পারি, আপদগ্রস্ত মানুষের পাশে যেন দাঁড়াতে পারি। এই যে প্রচেষ্টা আমাকে হৃদয়ে এক পরম স্বর্গীয় শান্তি এনে দেয়।
পিতা ছিলেন শিক্ষক, শিক্ষক পিতার সন্তান হিসেবে বাবাই আমার অনুপ্রেরণা ও আদর্শ। বাবার আদর্শের তরিতে ভর করেই অসহায় মানুষের জন্য মন কাঁদে, নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করি দুর্বিষহ মানুষের জন্য সহযোগিতা করতে। এই জীবনে আমার প্রত্যাশার চেয়ে বেশিই আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন, তাই আল্লাহ’র কাছে চাওয়ার কিছু নেই।
চাওয়া শুধু একটিই—আমি যেনো আমৃত্যু অসহায়, দুস্থ ও এতিমদের জন্য কিছু করতে পারি। পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এ জীবনে মন সকলি দাও, তার মত সুখ কোথাও কী আছে? আপনার কথা ভুলিয়া যাও, পরের কারণে মরণেও সুখ।
আলাপচারিতায় কথাগুলো বলছিলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করা একটি গ্রুপ অব কোম্পানির মার্কেটিং ও মার্চেন্ডাইজিং এর প্রধান; শিক্ষক পিতার আদর্শ সন্তান মেহেদী হাসান আসিফ।
পর্দার আড়ালে থেকে প্রচারবিমূখী এই মানুষটি অসহায় মানুষের জন্য যখন যা পারেন সাধ্যের মধ্যে সবকিছু উজাড় করে সহযোগিতা করে থাকেন। করোনাকালীন সময়েও এলাকার অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এলাকার মসজিদ ও মাদ্রাসার যেকোনো সাহায্যে এগিয়ে আসেন এই যুবক। ঈদ পার্বণসহ যেকোনো উৎসবেও তিনি অসহায়ের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
এবার রমজান মাসের শুরুতেই অসহায় মানুষজনকে নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। সবশেষে এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তরুণরা যেনো সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করে সেই তাগিদ কবি নজরুল ইসলামের কবিতার চয়ন আওড়িয়ে বলেন,”এমন জীবন করিও গঠন, মরণে হাসিবে তুমি; কাঁদিবে ভুবন।”