মাঠ পর্যায়ে সবজির ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় খুশি চাষীরা
নিজস্ব প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার রাত ০৯:৩০, ১৬ এপ্রিল, ২০২০
আবু ইউসুফ, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর রাণীনগরে হটলাইনে ফোন পেয়ে নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম এমপি মানবিক খাদ্য সহায়তায় ডাল আলুর পরিবর্তে চালের সাথে বেগুন, করলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন জাতের সবজি দেওয়ায় গত তিন দিন ধরে মাঠ পর্যায়ে হঠাৎ করে শাক-সবজির বাজার নায্য মূল্য নিশ্চিত হওয়ায় চাষীরা এখন ফুরফুরে মেজাজে আছে।
করোনার আতংকে যানবাহন না চলায় গত সপ্তাহ জুড়ে জাত ভেদে বেগুনের দাম ছিলো ৭টাকা কেজি। কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভূমিকার কারণে সেই বেগুন আজ ১৫থেকে ২০টাকায় কেজি দরে জমিতেই বিক্রয় হচ্ছে।
যে এলাকায় সবজি ক্ষেত আছে সেই এলাকায় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি এমপি নিজে ও তার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে উৎপাদিত সবজি ক্রয় করায় চাষীরা এখন নায্য মূল্য পাচ্ছেন।
রাণীনগরের ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে করোনা অতংকে ঘরে বসে থাকা কর্মহীন অসহায় হতদরিদ্র এবং যাদের ঘরে প্রকৃত খাদ্য সংকট আছে এমন ব্যক্তিদের হটলাইনে ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে সাত দিনের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে অভূক্তদের কাছে যাচ্ছেন এমপি ইসরাফিল আলম।
গত ১০ দিনে তার নির্বাচনী এলাকা আত্রাই-রাণীনগরে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে তার নিজস্ব তহবিল থেকে চাল ডাল আলু সবজি তেল লবন সাবানসহ প্রায় ৫০লক্ষ টাকার খাদ্য সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
তার এই ব্যক্তিগত কর্মসূচি যতদিন পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবেনা ততদিন পর্যন্ত অসহায় মানুষের পাশে থাকবেন বলে ঘোষনা দেন তিনি। তার প্রিয় কিছু নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে গোপনে ও প্রকাশ্যে গরীব ও অসহায়দের তালিকা করে বিভিন্ন যানবাহণের মাধ্যমে তালিকা ভূক্তিদের অজান্তেই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে যাচ্ছে তাদের ঘরে। এই মহা সংকটে খাদ্য পেয়ে খেটে খাওয়া কর্মহীন গরীব মানুষগুলো উপকৃত হচ্ছেন।
উপজেলার হরিশপুর গ্রামের এজদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে আমাদের সবজির বাজার একেবারে ধ্বস। গত কয়েক দিন ধরে এমপি সাহেব করলা, বেগুন, পেঁপে, ও লাউ কেনার কারণে আমরা কৃষকরা লাভবান হচ্ছি।
এমপি ইসরাফিল আলম জানান, সরকার করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভিজিএফ, ভিজিডি, ১০টাকা কেজি চাল ও বিশেষ খাদ্য সহায়তা দিতে যে ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছে তার সঠিক বাস্তবায়ন হলে কোনো মানুষই অভূক্ত থাকবেনা।
আমার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক পরিমাণ শাক-সবজি চাষ হয়েছে। কিন্ত করোনার প্রভাবে লকডাউনের কারণে যানবাহন না চলা, হাটবাজার ও দোকান পাট বন্ধ থাকায় কৃষকরা সবজির নায্য মূল্য পাচ্ছেনা। তাই চাষীদের বিষয়টি মাথায় রেখে মানবিক খাদ্য সহায়তার আইটিমের সাথে সবজি যুক্ত করা হলো তবুও কৃষকরা নায্য মূল্য পাক । মানুষের প্রয়োজনে হাটে বাজারে সমাগম কম হওয়ায়।
শাক-সবজির দাম একেবারে নি¤œ পর্যায় যাওয়ায় সেখান থেকে উত্তোরণের জন্য মানুষের শরীরে পুষ্টিগুন বৃদ্ধি করার লক্ষে মানবিক খাদ্য সহায়তা হিসেবে আমি নিজেই স্থানীয় কৃষি অফিসারের সহযোগীতায় চাষী পর্যায়ে গিয়ে বেগুন, করলা, লাউ, পেঁপেসহ নানান জাতের শাকসবজি কিনে চালের সাথে ব্যাগে ভর্তি করে আসহায় খেটে খাওয়া অভূক্ত মানুষদের দেওয়া হচ্ছে।
এতে করে চাষীরা সবজিতে নায্য মূল্য পাচ্ছে। বর্তমানে রাণীনগরে প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। তিনি দাবি জানান করোনার আতংকে ডাল আলুর দাম যে ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সেই হারে সবজির বাজার দরপতন ঘটেছে।
এই মহুর্তে দেশের বৃত্তবানরা অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগীতা করছে তারা যেন চাষীদের উৎপাদিত শাকসবজি খাদ্য সামগ্রী বিতরণের তালিকায় রাখার জন্য অনুরোধ করছি। তাহলে প্রান্তিক পর্যায়ে চাষীরার সবজির নায্য মূল্য পেয়ে অধিক পরিমানে জমিতে সবজি চাষের আগ্রহী বাড়াবে।
যাতে প্রকৃত ভাবে ক্ষধার্থ মানুষের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যায় সে জন্য রাণীনগর বাসির সহযোগীতা কামনা করছি। আপনারা করোনা মোকাবেলায় ঘরে বসে থাকুন আতংকিত না হয়ে সচেতন হবেন।