মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে নতুন শর্তাবলী
ডেক্স রিপোর্ট সোমবার রাত ০৮:৪৯, ৫ এপ্রিল, ২০২১
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের বিধিনিষেধের সঙ্গে মিল রেখে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ে ১০ দফা শর্ত মানতে অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয় এসব শর্তের কথা জানিয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী ‘লকডাউন’। এর আওতায় মানুষের কাজ ও চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। গণপরিবহন চলছে না। জরুরি কাজের জন্য সীমিত পরিসরে অফিস খোলা থাকছে। তবে ‘লকডাউনের’ প্রথম দিনে দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাব। এর আগে গত ২৯ মার্চ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। এ রকম অবস্থায় মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ে শর্তের কথা জানাল ধর্ম মন্ত্রণালয়। শর্তগুলো হলো:
১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে। অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিদের প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের জামাতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৬. সংক্রমণ রোধে মসজিদের অজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
৮. মসজিদে ইফতার ও সাহ্রির আয়োজন করা যাবে না।
৯. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব ও ইমামেরা দোয়া করবেন।
১০. খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
এসব নির্দেশনা লঙ্ঘন করা করা হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।