ভোলায় বিকাশে প্রতারনার শিকার এক মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা
মোঃ কামরুজ্জামান শনিবার রাত ১০:৫৭, ১৮ জানুয়ারী, ২০২০
ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর এলাকার বিকাশের প্রতারনার শিকার হয়ে অযুফিয়া আলিম মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর মোঃ নাইম(১৩) নামের এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শশীভূষণ বাজারের একটি পরিত্যক্ত দোকান ঘরে বিষপান করে সে আত্মহত্যা করে। মৃত নাঈম এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সফিজল ইসলাম মহাজানের ছেলে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাযায়, বৃহষ্পতিবার নাইমের ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বারে বড় ভাই নয়ন ঢাকা থেকে পরিবারের খরচের জন্য ৪ হাজার টাকা পাঠায়। এই টাকা বিকাশ নাম্বারে ঢুকার পরপর প্রতারকচক্র নাঈমের নাম্বারে ফোন করে। শুক্রবার সকালে থেকেই নাইম বিকাশের প্রতারক চক্রের সাথে তার ফোন কথা বলছিলেন। বিকালে আবার ফোন দিয়ে প্রতারকচক্র তার বিকাশ এ্যাকাউন্টে সমস্যার অজুহাত শুনিয়ে নাঈমের কাছ থেকে পিন নাম্বার জেনে নেয়। পিন নাম্বার জেনে নেয়ার পর নাইমকে লোভে ফেলে নাঈমের বিকাশ এ্যাকাউন্টে আরো ২০ হাজার টাকা ঢুকাতে প্রলুদ্ধ করে। বেশী টাকা পাওয়ার আশায় নাঈম কাউকে না জানিয়ে শশীভূষণ বাজারের জনৈক ইব্রাহীমের বিকাশের দোকান থেকে তার এ্যাকাউন্টে আরো ২০ হাজার টাকা ঢুকান। এই টাকা ঢোকানোর পরপর নাঈমের বিকাশ এ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা প্রতারকচক্র উত্তোলণ করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি প্রতারকচক্রের যোগাযোগকারী নাম্বারটিও বন্ধ হয়ে যায়। প্রতারিত হয়েছে নিশ্চিত হওয়ার পর বিকাশের দোকান থেকে পাশের একটি পরিত্যক্ত দোকানে গিয়ে বিষপান করে নাঈম । বিষপানে গুরুতর আহত নাইমকে বাজারের ব্যাবসায়ীরা উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে আনার পরে তার মৃত্যু হয়। বিকাশ দোকানী ইব্রাহীম জানান, তার ভাই নয়নের জরুরী ভিত্তিতে টাকা প্রয়োজন বলে জানায়। ভাই নয়নের কাছে পাঠানোর কথা বলে নাঈম আমার থেকে তার ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা স্থানান্তর করে। টাকা এ্যাকাউন্ড থেকে উত্তোলন হয়ে গেলে নাঈম আমাকে দেয়া ভুল তথ্যের কথা স্বীকার করে এবং সে প্রতারিত হয়েছে বলেও আমাকে জানায়। বিষপান করার পরপর বাজারের লোকজন নাঈমকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চরফ্যাসন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শশীভূষণ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, লোক মুখে আমরা বিষয়টি শুনেছি। তবে এব্যপারে কোন অভিযোগ পাইনি।