ঢাকা (দুপুর ১২:০৪) সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

Join Bangladesh Navy


ভূরুঙ্গামারীতে হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock শনিবার রাত ০৯:৫৯, ২১ মার্চ, ২০২০

ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ  কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ চালের মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বাজারে হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। প্রকারভেদে সকল ধরনের চালের দাম প্রতি ৫০ কেজি বস্তায় বেড়েছে চারশ থেকে পাঁচশত টাকা পর্যন্ত।হঠাৎ চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য মিলারদের কারসাজিকে দায়ী করছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। অপরদিকে, শুধু মিলারদের কারসাজি নয়, সঠিক তদারকির অভাবকেও দায়ী করছেন ভূক্ত ভোগীরা । সাধারণত মানুষ যে চাল খায় স্বর্ণ, গুটি স্বর্ণ, ব্রী ২৮, ২৯, মিনিকেট এবং নাজিরশাইল ।এক সপ্তাহের ব্যবধানে
সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।শনিবার দুপুরে উপজেলার সবচাইতে বড় বাজার ভূরুঙ্গামারী হাটে গিয়ে চালের বাজারে অস্থিরতার সত্যতা
পাওয়া যায়। চাল কিনতে আসা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ৫০ কেজির একটি চালের বস্তায় তার পরিবারের এক মাস চলে । গত মাসে ৫০ কেজির এক বস্তা আঠাশ চাল কিনেছি ১৭৫০/- টাকায়। আজ সেটা কিনতে হলো ২২০০/- টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তায় ৪৫০/- টাকা বৃদ্ধি যা অস্বাভাবিক। একাধীক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার যেখানে বার বার ঘোষনা দিচ্ছেন দেশে চালের কোন সংকট নেই। সেখানে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইচ্ছেমত চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী বলেন বর্তমানে কৃষকদের কাছে কোনো ধান নেই। সব ধান রয়েছে মিলারদের কাছে। তারাই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়েছে।বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী কল্যান কুমার বলেন, বর্তমানে ২৫ কেজির এক বস্তা আঠাশ চাল মিল মালিকের কাছ থেকে ১০৫০/- টাকায় কিনতে হচ্ছে। যা অনেকেই ১১০০/- টাকায় বিক্রি করছেন।ভূরুঙ্গামারীর মেসার্স মা অটো রাইস মিলের মালিক জাবেদ আলী মন্ডল এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধানের দাম বেশি হওয়াতে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি মণ মোটা ধান কিনতে হচ্ছে ৯০০ টাকা থেকে ৯২০ টাকা । আঠাশ চিকন ধান ১২০০ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে না।
চালের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সঠিক তদারকির দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা ফিরুজুল ইসলাম বলেন, আমি ইতোমধ্যে বাজার পরিদর্শনে বেড়িয়েছি। কোন অসংগতি পরিলক্ষিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT