ঢাকা (রাত ৯:১৬) বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

বিশ্বনাথের পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া ভূতুড়ে বিল



মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির, সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের বিশ্বনাথে পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি করোনা পরিস্তিতির কারণ দেখিয়ে মিটার রিডিং না দেখেই গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। সরকারের অগ্রাধিকার উদ্যোগ বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান খাত হিসেবে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ খাতের উত্তরণ এখন দৃশ্যত। তারপরেও নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতার গ্যাড়াকলে গ্রাহক ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতি এ যেন নিত্য সঙ্গী হয়ে আছে বিশ্বনাথ উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির হাজার -হাজার গ্রাহকের। পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কয়েক মাসের অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থেকে মনগড়া ভৌতিক বিলের খড়গ চাপিয়ে নানামুখী ভোগান্তিসহ গ্রাহকের পকেট কেটে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক মাস উপজেলার কোনো বাড়িতেই পল্লী বিদ্যুতের কোনো মিটার রিডার আসেননি রিডিং নিতে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে না আসার সুযোগ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাদের মনগড়াভাবে অসংখ্য গ্রাহকের বিল তৈরি করেছেন। বিগত কয়েক মাসে মিটারে রিডিং কম থাকলেও বিলের কাগজে তা বেশি লিখে গ্রাহকদের হাতে বিল ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। গড়বিলের কথা বলে দ্বিগুণ বা তিনগুন বেশি ভৌতিক বিলের বোঝা গ্রাহকের ঘাড়ে চাপিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ। কয়েছ আহমেদ একজন গ্রাহক বলেন, আমার আগে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল আসত ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। অথচ এবার তা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে বিল এসেছে ১৫০০ হাজার ২০০০টাকা। উপজেলার সদরের বাসিন্দা কাউছার আহমেদ নামে একজন বলেন, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আমি মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করিনি। আমাদের জানা ছিল পূর্বের দুই মাসে বিল জুন মাসে গ্রহণ করা হবে এবং এতে কোন অতিরিক্ত চার্জ বা জরিমানা করা হবে না। তবে মে মাসের বিলে পূর্বের দুই মাসে বিল সমন্বয় করা হয়েছে এবং সেখানে দেখা যায় পূর্বের দুই মাসের বিলের উপরে ৫% হারে অতিরিক্ত অর্থ যোগ করা হয়েছে- যা ভ্যাট উল্লেখ করা আছে। এছাড়াও মার্চ ও এপ্রিল এবং মে-জুন মাসের বিল বা অনান্য সময়ের বিলের দ্বিগুন বিল এসেছে মে -জুন মাসে। যদিও আমার ব্যবহারের পরিমাণ একই ছিল। জানতে চাইলে বিশ্বনাথ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সামিউল কবির বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে এবার এমনটা হয়েছে। আমাদের মিটার রিডারে যারা কাজ করেন তারা বাইরে বের হতে পারেননি। তাই মার্চ বা এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল গত বছরের একই সময়ের বিল বা বর্তমান মাসের বিদ্যুৎ ক্রয়েরভিত্তিতে গড় বিল প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে মে -জুন মাসে সব সমন্বয় করা হয়েছে। এরপর থেকে বিল স্বাভাবিক আসবে। এর পরেও যদি কোন অসঙ্গতি থাকে, তাহলে অফিসে আসলে সমাধান করে দেওয়া হবে না হয় পরবর্তী মাসে তা সমন্বয় করে দেয়া হবে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT